স্ত্রীকে সন্দেহ। আর সেই সন্দেহের বশেই তাকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। সোমবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের কালনা থানা এলাকায় গ্রাম কালনার তালপুকুরে। মৃত মহিলার নাম ঠাকুরানী বাগ। তবে সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হল স্ত্রীর সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে বলে ওই ব্যক্তির সন্দেহ তিনি তারই ছেলে।
মৃত ঠাকুরানী বাগের দাদা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জামাইবাবু বোনকে সন্দেহ করত। সেটা আবার নিজের ছেলেকে নিয়ে। সেই কারণেই ভাগ্না আমাদের বাডিতেই থাকত। মালদহের একটি হোটেলে কাজ করতে ভাগ্না। বাড়ি যেত না খুব একটা। জামাইষষ্ঠী উপল্ক্ষ্যে ও আমার বাড়িতে এসেছিল। গতকাল ছেলের দেখতে চায় বোন। তাতেই খেপে যায় জামাইবাবু। এনিয়েই গতকাল রাতে আশান্তি বেধে যায় তাদের মধ্যে। তার মধ্যেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে বোনকে আঘাত করে জামাইবাবু। তারপরই সে ঘর ছড়ে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় অভিষুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে, স্ত্রী হাতে খুন হল মদ্যপ স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাটের গোন্দাপাড়া চা বাগান এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই মদ খেয়ে ঘরে এসে অশান্তি করতেন চৈতন্য ওঁরাও। রবিবারও মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু করে চৈতন্য। এনিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। এরই প্রতিবাদ করেন স্ত্রী লক্ষ্মী ওঁরাও। শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি। একসময় স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় লক্ষ্মী। সেই ধাক্কায় চৈতন্য টাল সামলাতে না পেরে ধাক্কা খায় পাশেই থাকা একটি পিলারে। সেই আঘেতেই সে মাটিতে পড়ে যায়।
এদিকে, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঘরে ফেরে লক্ষ্মী। দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে চৈতন্য। গুরুতর আহত অবস্থায় চৈতন্যকে বানারহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা চিকিত্সকরা। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।