বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে বনগাঁয় মৃত্যু হল মা ও ছেলের। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ পৌর এলাকার ট-বাজারের বাসিন্দা ঋষভ অধিকারী শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ভুলবশত বাড়ির জামা কাপড় টানানোর জি আই তারে হাত দিয়ে ফেলেন। হয়ত বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল, তা বুঝতে পারেননি তিনি। সেখান থেকে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হন। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ঋষভের মা মিতা অধিকারী ছুটে গিয়ে তার থেকে ছাড়াতে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে মাও ছেলের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা তপন অধিকারী জানিয়েছেন কোনও কারণে বিদ্যুতের তারের ফল্ট এর কারণে বাড়ির বিভিন্ন অংশের বডি হয়ে যায়। ছেলে জি আই হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়। তাকে ছাড়াতে গিয়ে স্ত্রী মিতা অধিকারী ও বিদ্যুৎপিষ্ট হন। ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কলকাতা থেকে জেলা, বৃষ্টির জমা জলে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর আগে এমনই ঘটনা হয়েছিল হাওড়ার দাশনগরেও। বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ে বহু বাড়িতে। সেই অবস্থায় মিটার বক্সের মেন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্য হয় ৩৫ বছরের হেমন্ত সিংয়ের। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের উত্তর ধাদকায় বাড়ির মাটির দেওয়ার চাপা পড়ে মৃত্যু হল ৫ বছরের শিশুর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও আরেক সন্তান। বাঁকুড়ার সিমলাপালের পাথরডোবা গ্রামে মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে বছর ৬৫-র গৃহকর্তার। একই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। সেখানে মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় একইভাবে মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের গৃহকর্ত্রীর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কালিম্পঙের মামখোলায়, সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ধস নামে। মৃত্যু হয়েছে দুই শ্রমিকের।