আরিয়ান খান মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় রবিবার! ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু, তার ঠিক আগে এই মাদক-মামলার এক সাক্ষী ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেল নিজের বয়ান থেকে। ১০ পাতার সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়েছে এনসিবি, এমনই দাবি করলেন এই মাদক মামলার সাক্ষী প্রভাকর সেইল। এখানেই শেষ নয় টাকার লেনদেনের কথাও যে শুনেছে বলে এক হলফনামায় দাবি করেছে সে।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে এনসিবি। কেন্দ্রীয় সংস্থার সাফ কথা, সঠিক সময়ে জবাব দেবে তাঁরা। কিন্তু মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত গোটা ঘটনাকে ঘিরে। প্রভাকর সেইলের দাবি, ২রা অক্টোবরের রাতে আরিয়ানকে এনসিবির দফতরে নিয়ে আসবার পর কেপি গোসাভি এবং স্যাম ডিসুজার মধ্যেকার কথোপকথন শুনেছিল সে, সেখানে ২৫ কোটি টাকা দাবি করবার কথা বলা হয়েছিল। এবং ১৮ কোটিতে গোটা মামলা রফা করবার কথা পাকা হয়েছিল, যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা হয়েছিল। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আরিয়ান খান মাদক-কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। গত কয়েকদিনে বারবার উদ্ধব ঠাকরের সহযোগী দল, এনপিসি-র নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মল্লিক আঙুল তুলেছেন ওয়াংখেড়ের দিকে। আরিয়ানের গ্রেফতারির পর এক ব্যক্তির সঙ্গে আরিয়ানের সেলফি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ব্যক্তিই কিরণ পি গোসাভি, যিনি এই মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী। যদিও ২০১৮ সাল থেকে পুণের এক জালিয়াতি মামলায় ‘পলাতক’ গোসাভি। এই গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল।
নিজের হলফনামায় সেইল দাবি করেছে, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে কেপি গোসাভিকে কথা বলতে দেখেছিল সে। পরবর্তীতে গোসাভি একটা নির্দিষ্ট লোকেশন থেকে ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে বলে। দুটো টাকা ভর্তি ব্যাগ সে গোসাভির কাছে পৌঁছে দেয়। কিন্তু টাকার ব্যাগ গুনে দেখা যায় সেখানে মাত্র ৩৮ লক্ষ টাকা রয়েছে। নিজের হলফনামায় তাঁর আরও দাবি, গোসাভি এখন নিরুদ্দেশ। ‘এনসিবি আধিকারিকরা আমাকেও মেরে ফেলতে পারে বা গায়েব করে দিতে পারে গোসাভির মতো’, এমনটাও ওই হলফনামায় জানিয়েছে প্রভাকর সেইল।
শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত, কেপি গোসাভির সঙ্গে এনসিবি দফতরে আরিয়ানের নতুন ভিডিয়ো পোস্ট করে সেইলের চাঞ্চল্যকর দাবির কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্তা, ‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আগেই বলেছিলেন এই মামলা মহারাষ্ট্রকে বদনাম করবার উদ্দেশ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে। সেটাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। পুলিশের উচিত এর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়া’।