Anti–National: সরকারি চাকরিতে নতুন শর্ত, সেনাকে ঢিল মারলে পাসপোর্টও নয় কাশ্মীরে

কাশ্মীরে ‘দেশদ্রোহী’দের জব্দ করতে এ বার নয়া কৌশল।। ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীরীদের সরকারি চাকরি এবং পাসপোর্টের অধিকার কেড়ে নিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনায় লিপ্তদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে তারা।

একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উপত্যকায় সিআইডি-র স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের তরফে ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন, পাথর ছোড়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না।

এর আগে, কাশ্মীরিদের চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু তথ্য বাধ্যতামূলক শর্ত দেয় কেন্দ্রশাসিত উপত্যকার প্রশাসন। তাতে বলা হয়, পরিবারের সদস্যদের কেউ উপত্যকার কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না, কখনও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন কি না, কোনও বিদেশি সংগঠনের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে কি না, জামাত-ই-ইসলামি-র মতো নিষিদ্ধ, চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে কি না, তা জানানো বাধ্যতামূলক।


শুধু তাই নয়, আগে থেকেই যাঁরা সরকারি পদে কর্মরত, নতুন করে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবে সিআইডি, বাবা, মা কোন পেশায় যুক্ত, স্বামী, স্ত্রী, নিজের ছেলেমেয়ে, সৎ ছেলেমেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর, ননদ সকলের কর্মজীবন সংক্রান্ত বিশদ তথ্য দিতে হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কত বার পদোন্নতি হয়েছে, কোথায় কোথায় বদলি হয়েছেন, তা-ও জানাতে হবে সরকারি কর্মীদের।

কাশ্মীরের কোনও মহিলা যদি অন্য কোনও রাজ্যের পুরুষকে বিয়ে করেন, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে কাশ্মীরে বসবাসের জন্য অনুমতিপত্র নিতে হবে সরকারের কাছ থেকে। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জম্মু ও কাশ্মীর (রাজ্য আইন অভিযোজন) আইনের দ্বিতীয় নির্দেশে অনুমোদন দেয়। তার আওতায় স্থায়ী ভাবে কাশ্মীরের বসবাসকারী হিসেবে প্রতিপন্ন হতে হলে, উপত্যকায় অন্তত ১৫ বছর থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.