দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত এক যাত্রীর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এল। তাঁর পরিবারের এক সদস্য এবং পরিচারকও সংক্রমিত হয়েছে। তবে তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা, তা স্পষ্ট নয়। জিন সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, ওই তিনজনের নমুনা দিল্লিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলে পাঠানো হবে। কোন ধরনের করোনা প্রজাতির কবলে পড়েছেন তাঁরা, তা নির্ধারণের জন্য সেখানে করা হবে জিন সিকোয়েন্সিং। তারপরই বোঝা যাবে যে তাঁরা আদৌও প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
সপ্তাহকয়েক আগো বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত দুই যাত্রীর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। কর্নাটকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, কেম্পগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে তাঁদের শরীরে অস্তিত্ব মেলে ডেল্টা প্রজাতির। উদ্বেগজনক ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি তাঁরা। কর্নাটকের স্বাস্থ্যসচিব টি কে অনিল কুমার জানান, যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁদের জিন সিকোয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম যাত্রী গত ১১ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে আসেন। অপরজন আসেন ১৬ নভেম্বর। সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট হাতে আসার আগে দু’জনকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে দু’জনেই ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত।’
উল্লেখ্য, শুক্রবারই নয়া বি.১.১.৫২৯ প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ (বুধবার) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনার প্রথম যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ৯ নভেম্বর। যে প্রজাতির একাধিকবার মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) হয়েছে। কয়েকটি মিউটেশন তো উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে অন্যান্য ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের’ থেকে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারইমধ্যে গত দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।