সন্দেশখালিতে এ বার এল এনএসজি-ও (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড)। শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর পরেই ডাকা হয় এনএসজি-কে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রোবট এনে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
শুক্রবার ফের সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে খবর, প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে, এমন খবর পাওয়া মাত্রই শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে মাটি খুঁড়ে মিলেওছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। তার জন্যই রোবট নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তালেবের বাড়ি থেকে ১২৮ রাউন্ড গুলি , পাঁচটি অত্যাধুনিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র , বেশ কয়েকটি দেশি বন্দুক, বোমা তৈরির মশলা-সহ বেশ কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছে। যেখানে সেখানে বিস্ফোরক মজুত থাকতে পারে, এমন অনুমান করে বাড়ির আশপাশে অটোমেটিক রোবট স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সও।
শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপুরে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁয়ের ভগিনীপতির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান তদন্তকারীরা। মূল রাস্তা থেকে প্রায় ২০০ মিটার ভিতরে মাছের ভেড়িবেষ্টিত বাড়িটি। সেখানে যাওয়ার একটিই সরু ইট পাতা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই সূত্রে খবর, বাড়িটি থেকে প্রচুর অস্ত্র-বোমা উদ্ধার হয়েছে। দাবি, গোপন সূত্রে অস্ত্র-বোমা মজুতের খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হয়। সেই বাড়ির মাটি খুঁড়েই প্রচুর বিদেশি বন্দুক মিলেছে বলে দাবি। তদন্তকারীদের অনুমান, বাড়িতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও মিলতে পারে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার সেখানে এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। গত শনিবারও সন্দেশখালিতে এসেছিল সিবিআইয়ের দু’টি দল। একটি দল গিয়েছিল থানায়। অন্য দলটি গিয়েছিল সুন্দরীখালির দিকে। এ বার হানা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়িতে।