বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ বকখালির কাছে একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। ট্রলারটিতে ছিলেন ১২ জন। দুই জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ১০ জন মৎস্যজীবী। সারা রাত তল্লাশি চালিয়ে গতরাতে সেই ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃতদেহ পেল উদ্ধারকারী দল। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে ১২ জন মৎসজীবী-সহ গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে পাড়ি দেয় হৈমবতী নামে একটি ট্রলার। বুধবার ভোরে মাছ ধরে ফেরার সময় বকখালির কাছে চড়ে ধাক্কা লেগে ঘটে দুর্ঘটনাটি। বন্দরে ফেরার সময় রক্তেশ্বরী চরের কাছে উল্টে যায় হৈমবতী।
জানা গিয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে সারা রাত তল্লাশি চালায় পুলিশ। ভোর রাতের দিকে তাঁদের মধ্যে ৯ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাসায্যে এখনও উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি মাঝসমুদ্রে খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা। পরে সেটিকে প্রায় পাঁচ-ছয়টি ট্রলারের সাহায্যে উপকূলে নিয়ে আসা হয়। সেই ট্রলারের মধ্যে ৯ জন মৎস্যজীবীর দেহ মেলে বলে জানান কাকদ্বীপের এসডিপিও অনিল কুমার রায়। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি। অনিলবাবু বলেন, ‘ট্রলারটি কীভাবে ডুবল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।’