এখনো জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না খানাকুলবাসী। উঁচু জায়গায়গুলিতে জল কমলেও নীচু জায়গায় কোনো কোনো এলাকায় এক হাঁটু, আবার কোনো জায়গায় এক কোমর সমান জল। মদন বাটি, রঞ্জিত বাটি, চুয়াডাঙ্গা, বউ বাজার, নন্দনপুর, মারোখানা ও খানাকুল দু’ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো প্লাবিত। টান পড়েছে পানীয় জলে। অভাব পড়েছে খাবারের, বিশেষ করে শিশুদের খাবারের। কিছু কিছু জায়গায় জল কমে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না পানীয় জল ও খাবার। বহু পরিবার এখনও ঘরছাড়া। ঘর পড়ে যাওয়ার কারণে আশ্রয় না থাকায় বাঁধের ধারে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে প্রচুর মানুষ। বন্যা পরিস্থিতির সামান্য কিছুটা উন্নতি হলে প্রশাসনের তরফ থেকে ও বিভিন্ন এনজিও’র তরফ থেকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বন্যা দুর্গতদের। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খানাকুল, পুড়শুড়া ও গোঘাট।
অন্যদিকে গোঘাট পশ্চিম পাড়ায় একটি দোতলা মাটির বাড়ি হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে। বাড়ির সদস্যদের নিয়ে ভাত খাচ্ছিলেন আইজুল্লা ডাঙ্গি। হঠাৎ করে বাড়িটি ভেঙ্গে পড়ে। আইজুল্লা ভাঙ্গি ও তারা দুই ভাই কোনরকমে বাড়ির সদস্যদের নিয়ে বেড়িয়ে আসে। তা না হলে বড়ো কোনও বিপদ ঘটত। এই পরিস্থিতিতে তারা এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। গাছ তলায় বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।