৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ কে বিলুপ্ত করে দেয়। পাকিস্তান ও কাশ্মীরের কট্টরপন্থী ছাড়া এর সবথেকে বেশি বিরোধ কংগ্রেস করেছে। কংগ্রেস পার্টির লোকসভায় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সদনে বিরোধী দলের মুখ হয়ে সরকারের পদক্ষেপের উপর প্রশ্ন তোলেন।
উনি কাশ্মীরকে ভারতের আন্তরিক নয় বরং ইন্টারন্যাশনাল বলে দিয়েছে। এই ঘটনার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দেখেই লোকেরা তাকে ঘেরাও করে নিয়েছিল বলে খবর সামনে আসছে। মুর্শিদাবাদের শক্তিপূর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে অধীর চৌধুরীকে জনতার আক্রোশের সম্মুখীন হতে হয়।
যেই এলাকায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী সংসদ আছেন, সেই এলাকার লোকেরা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে নেয় ও উনাকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বেঙ্গলের বহরমপুর থেকে লোকসভার সাংসদ। বহরমপুর এলাকার জনগণরা তাকে ঘিরে নিয়েছিল। একই সাথে জনগণের ভিড় অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য শ্লোগান বাজি করেছিল। দেখুন ভিডিওটি:
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গাড়িকে লোকেরা ঘিরে নেয় ও তাকে গাড়ি দিয়ে নামতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয় উনাকে পাকিস্তান প্রেমী আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস পার্টির এই নেতাকে এনার সিটের জনতারাই পাকিস্তান চলে যেতে বলে। যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে সামনে এসেছে তা সম্প্রতি কয়েকদিনের বলে মান্য করা হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অপসারণ নিয়ে দেশজুড়ে অনেকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে বেশিরভাগ মানুষ ৩৭০ বিলুপ্ত করার সমর্থন করেছে। কিন্তু কংগ্রেস পার্টি মন খুলে বিষয়টির সমর্থন করেছে। যার জন্য সম্ভব মানুষের আক্রোশ নেতাদের উপর পড়তে শুরু হয়েছে। আর সবথেকে সৌভাগ্যের ব্যাপার হলো অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাথে সংঘর্ষের সময় লোকজন উত্তেজিত হয়ে কোনো আপত্তিজনক কাজ করেনি। অবশ্য অনেকের দাবি অধীর রঞ্জনের উপর এমন আক্রোশ প্রকাশ করে পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে।