একজন বছর 37 এর উচ্চশিক্ষিতা মহিলা, যার মাসিক কোনো আয় নেই, পার্টির হোলটাইমার হিসেবে পার্টি থেকে 5000 টাকা মাসিক বেতন হিসেবে পান।
হ্যাঁ, নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জীর কথাই বলছি। যাকে নিয়ে বামেদের আদিখ্যেতার শেষ নেই! একজন 37 বছরের উচ্চশিক্ষিতা মহিলাকে নিজের পেট চালানোর জন্য পার্টির কাছ থেকে টাকা নিতে হয় কেন? নিজে স্বনির্ভর হতে পারেনি কেন! গত দশবছরে রাজ্যে চাকরিতে হয়তো নিয়োগ খুব সামান্য হয়েছে কিন্তু দুটো টিউশনিও তো পড়াতে পারতো! বাংলার বহু উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়ে চাকরি হয়তো পায়নি কিন্তু তারা মীনাক্ষী দেবীর মতো কোনো পার্টির পয়সায় পেট চালায়না, বরং খেটে, দুবেলা দুটো টিউশন পড়িয়ে আত্মনির্ভর হয়েছে।
আউশগ্রাম বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন, হয়তো স্বল্পশিক্ষিতা কিন্তু নিজে রোজগার করেন। তিনি আত্মনির্ভর, পার্টির থেকে মাস গেলে হাত পেতে টাকা নেন না । শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রাজমিস্ত্রির স্ত্রী, প্রয়োজনে স্বামীর সাথে মাঠে গিয়ে ধান কাটেন, কিন্তু পার্টি থেকে হাত পেতে টাকা নেন না। একজন উচ্চশিক্ষিতা পার্টির হোলটাইমার অপেক্ষা একজন স্বল্পশিক্ষিতা আত্মনির্ভর মহিলার গুরুত্ব আমার কাছে অনেক বেশি।
নন্দীগ্রামে বামেদের ভোট 3 শতাংশ পার করবেনা, তারপরও এই বছর 37 এর ‘বেকার’ মহিলাকে নিয়ে বামেদের আদিখ্যেতা করতে দেখে ভীষণ হাসি পায়!
©Dona Majumder