এ যেন এক উলট পুরাণ! স্রোতের বিপরীতে হাঁটছে পড়শি রাষ্ট্র। ভারতে যখন হু হু করে বাড়ছে করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ। ঠিক তখনই মহামারীকে প্রায় হারিয়ে দিল ইমরান খানের (Imran Khan) দেশ। কীভাবে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করল ইসলামাবাদ, তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমদিকে পাকিস্তানে (Pakistan) হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তা নিয়ে ইমরান খান প্রশাসনের তুমুল সমালোচনা করেছিল সে দেশের বাসিন্দারাই। অভিযোগ, এমনিতেই সে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বল। স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ নগন্য। আবার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি লকডাউনও তুলে দিয়েছে ইমরান প্রশাসন। তারপরেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০-এরও নিচে রয়েছে। সে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোটে তিন লক্ষ।
প্রসঙ্গত, এর আগে পোলিও, হেপাটাইটিস, যক্ষ্মার মতো সংক্রমিত রোগকে রুখতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেয়েছে পড়শি দেশ। যা নিয়ে বিশ্বের দরবারের সমালোচিতও হয়েছে তারা। সেই দেশেই এবার মাত্র ছমাসের মধ্যে মহামারীকে রুখে দিয়ে রীতিমতো নজির গড়ে ফেলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কীভাবে মাত্র ছমাসের মধ্যে করোনা সংক্রণকে লাগাম পরাল পাকিস্তান? সে দেশের তরফে একাধিক কারণ দেখানো হয়েছে। যদিও তার কোনওটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলে দাবি করছেন চিকিৎসক ও রোগ বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, সে দেশে যুবশক্তি বেশি। ফলে মহামারী তাঁদের কাবু করতে পারেনি। আবার সে দেশের প্রাকৃতিক পরিস্থিতি করোনার সংক্রমণ রুখতে অন্যতম উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন প্রচণ্ড গরম, তেমনই আর্দ্রতা-এই জোড়া ডিফেন্স ভেঙে এগোতে পারেনি নোভেল করোনা ভাইরাস। যদিও গরম বা আর্দ্রতা মহামারীর সংক্রমণ রুখতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানে না। পাকিস্তানের মহামারী প্রসঙ্গে লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালের চিকিৎসক সলমন হাসিব বলেন, “কীভাবে এই সংক্রমণের হার স্তিমিত হল, তা নিয়ে আমরাই ধন্দে রয়েছি। আমাদের কাছে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই।”