সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে কি ভাবে উচ্চ শব্দ, গান বা চিৎকার শোনার পর আমাদের শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায়।
একটি গবেযণায় দেখা গেছে উচ্চ গ্রামে শব্দ শোনার পর বেশিরভাগ মানুষের এই অভিজ্ঞতা হয় যে তাদের শ্রবণ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং কানটি অসাড় থাকছে। কিছুক্ষন পর তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। কানের ভেতরে অবস্থিত ককলিয়ার মধ্যে থাকে অতি সূক্ষ্ম ও ক্ষুদ্র গঠনের টেকটোরিয়াল পর্দা বা মেমব্রেন যা ক্যালসিয়াম আয়নের সঞ্চয়ী হিসেবে কাজ করে। এই ক্যালসিয়াম আয়ন সেখানকার সংজ্ঞাবহ কোষের নিয়ন্ত্রনের কাজটি করে।
ক্যালসিয়াম আয়ন হচ্ছে ধ্বনাত্মক তড়িৎগ্রস্থ ক্যালসিয়াম পরমানু। আর এরাই শব্দ শোনার কাজে মুখ্য ভূমিকা গ্রহন করে। শব্দ তরঙ্গকে রূপান্তরিত করে স্নায়ু তরঙ্গে পরিনত করার কাজটি চলে কানের ভিতরে অবস্থিত ককলিয়ায়। এর গঠন মূলত পেঁচানো যা অনেকটা শামুকের সঙ্গে মেলে। ককলিয়াতে অসংখ্য সংজ্ঞাবহ কোষ থাকে যারা শব্দকে রূপান্তরিত করে তরঙ্গের আকারে মস্তিস্কে পাঠায়।
কানের ভেতরকার ককলিয়াতে এক রকমের তরলের উপস্থিতি গবেষনায় জানা গেছে। ঐ বিশেষ তরল পদার্থে সংজ্ঞাবহ কোষ গুলি নিমজ্জিত থাকে এবং তাতে কিছু মাত্রার ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতিও প্রমানিত হয়েছে। যদিও সাধারন মাত্রার ক্যালসিয়াম যুক্ত কোনো তরলে নিমজ্জিত সংজ্ঞাবহ কোষগুলি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারেনা।
বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যদি বিশেষ কিছু ব্যবহার করে ক্যালসিয়াম আয়ন কে সরানো যায় তাহলে সংজ্ঞাবহ কোষ গুলি তাদের কাজকরা বন্ধ করে দেয়। একই রকম ভাবে কানের ভিতরে রক সঙ্গীত এর সমান তীব্র কোনো শব্দ প্রবেশ করালে একই ফল পাওয়া যায়।