“আমি আমার জীবন কাটিয়ে ফেলেছি, একজন তরুণ রোগীর এটা (হাসপাতালের বেড) বেশি প্রয়োজন আমার চেয়ে।”
নাগপুরের ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ক্ষীণ কন্ঠে বললেন কোভিড আক্রান্ত পঁচাশি বছরের বৃদ্ধ।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠলেন হাসপাতালের কর্মীরাও। তারা চেষ্টা করলেন বোঝাতে, একবার বেড ছেড়ে দিলে আবার পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
বৃদ্ধ দৃঢ় প্রত্যয়ী। তিনি বাড়ি ফিরবেন, দেশ ও সমাজের প্রতি তার কর্তব্য তিনি করেছেন। জীবনের খুব বেশি আর কিছু বাকি নেই তার। পরিবর্তে চিকিৎসা পাক বছর চল্লিশের সেই অপরিচিত করোনা আক্রান্ত যুবক যার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে উপস্থিত ওই হাসপাতালে।
বৃদ্ধের অনুরোধ রাখা হলো। প্রয়োজনীয় সইসাবুদ সেরে তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন পরিজনেরা।
তিন দিন পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
তিনি নারায়ণরাও দাভারকর। স্বয়ংসেবক।
আর এটাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংস্কার।
হ্যাঁ, এই সংস্কারকে ভয় পায় রাষ্ট্রের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা বামপন্থী সহ এই দেশের শত্রুরা। তাই ওদের এত আক্রমণ সঙ্ঘের বিরুদ্ধে।
ওরা জানে, এই সংস্কার যার রক্তবিন্দুতে একবার মিশেছে কোনো প্রলোভনই তাকে দেশমাতৃকার প্রতি কর্তব্যপালন থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
নারায়ণরাও দাভারকর, আপনার মৃত্যু হয় নি। আপনাদের মৃত্যু হয় না। ❤
✍️ বংশী মোহান্ত !