ফ্রেডরিখ এ হায়েক (১৮৯৯-১৯৯২) ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Vienna) থেকে দুটো বিষয়ে ডক্টরেট করেন, আইন ও অর্থনীতি। অর্থনীতির অধ্যাপনা শুরু করেন ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Vienna)। ১৯২৯ সালে প্রকাশ করেন তাঁর প্রথম বই Monetary theory and the Trade cycle। ১৯৩০ সালে ডাক পান লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্স থেকে। তাঁর অধ্যাপনায় আপ্লুত ছাত্রবৃন্দ। ১৯৩১ সালে টুক প্রফেসর হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৫০ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার। অনেক বইয়ের মধ্যে অন্যতম The road to serfdom। মানে একেবারে হেঁজিপেজি লোক নয়।

ইতিমধ্যে হায়েক ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তখন কেইনস হচ্ছেন একেবারে প্রথম সারির অর্থনীতিবিদ। ১৯৩৪ সালে হায়েক তাঁর A treatise of money ফালাফালা করেছেন দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত এক রিভিউয়ে। দেখা হল দু’বছর পর। কেইনস হাসলেন আর বললেন তিনি নিজেই যা লিখেছিলেন আর বিশ্বাস করেন না। ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হল কেইনস-এর যুগান্তকারী The General theory of employment, interest and money। হায়েক সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকলেন। ইতিমধ্যে বিশ্বযুদ্ধের ফলে স্কুল উঠে গেছে কেমব্রিজে (Cambridge)। কেইনস হলেন সেখানকার বারসার। ঘর দিলেন হায়েককে। হায়েক উঠে এলেন কেমব্রিজে। নিলেন ফায়ার ডিউটি। অর্থাৎ রাতে ছাদে শুয়ে জার্মান বোমারু বিমানের আনাগোনার ওপর লক্ষ্য রাখা। এখানেই হায়েকের মাথায় আসে বইটার কথা।

বিশ্ব রাজনীতিতে ঘটে গেছে কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা। ১৯১৭ সালে জার্মানির যোগসাজসে রাশিয়াতে লেনিনের (Lenin) প্রত্যাবর্তন। ১৯০৭-এ তাঁর প্রথম বই What is to be done। বললেন একটা প্রকৃত বিপ্লবী পার্টিই পারে রাশিয়াতে বিপ্লব আনতে। প্রথম কাজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কেরেনেস্কি সরকারের উৎপাটন। পরের কাজ সোশ্যালিস্ট রেভোলিউশনারিদের মারণ যজ্ঞানুষ্ঠান। ওঁর থেকে ভাল টাইয়ের নট বাঁধতে ইতিপূর্বে কোন রাষ্ট্রনায়ককে দেখা যায়নি। এটাও উল্লেখযোগ্য যে যতগুলো ছবি দেখা যায় প্রত্যেকটিতে তিনি রোলসরয়েস গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন। লোকটার ক্লাস ছিল। ১৯২৪এ সিফিলিসে মৃত্যু। জোসেফ স্টালিন (Joseph Stalin) অভিষিক্ত হলেন তাঁর জায়গায়। স্টালিন ইতিহাসের এক ঘৃণ্য চরিত্র। ন্যূনতম ৬০ লক্ষ লোককে মেরেছিলেন। গুলাগের বন্দিদের দিয়ে তৈরি হল নব্য ক্রীতদাস প্রথা। এই ক্রীতদাসের কাঁধ হল নতুন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিভূমি। স্টালিন ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন লোক ছিলেন। তিনি আগেভাগে হিটলারের সাথে একটি অনাক্রমণ চুক্তি সম্পন্ন করে ফেললেন। আর পোল্যান্ডকে ভাগাভাগি করে নিলেন হিটলারের সঙ্গে। অত সহজে অবশ্য ফিনল্যান্ড জয় হয়নি। রীতিমত কাঁদিয়ে দিয়েছিল ফিনল্যান্ড। জার্মানি রাশিয়া আক্রমণ করল। মিলিটারী নাম Operation Barbarossa। হিটলারের কাছে খবর ছিল যে রাশিয়ার জনসাধারণ স্টালিনের অত্যাচারে এতটাই ক্ষিপ্ত যে তারা জার্মানির সঙ্গে যোগ দেবে। খবরের সত্যাসত্য যাচাই করার কোন জায়গা নেই। কিন্তু জার্মানির সৈন্য এতটাই অত্যাচার করেছিল যে তারা রুখে দাঁড়াল। হিটলার যদি তার সেনানায়কদের কথা শুনে মস্কোর দিকে আগুয়ান হওয়ার নির্দেশ দিতেন তাহলে কী হত বলতে পারি না। কিন্তূ হিটলার আদেশ দিলেন ইউক্রেইন অধিকার করার। যখন মস্কোর দিকে এগোল জার্মানরা তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। রাশিয়ার বিখ্যাত শীত তখন নামতে শুরু করেছে। দু’ দু’বার সেনানায়ক বদল করলেন স্টালিন। শেষে ভার নিলেন মার্শাল জুখভ (Marshal Zhukov) এবং জিতলেন। জুখভকে কিন্তু স্টালিন ঝুলিয়ে দিলেন। প্রচুর ঢক্কানিনাদ করে হল মস্কো ট্রায়াল। অন্য দুটি বিখ্যাত ট্রায়াল হল ন্যুরেমবার্গ আর টোকিও ট্রায়াল। টোকিও ট্রায়ালে অবশ্য রাধাবিনোদ পাল জাপানের হয়ে রায় দিলেন।

যখন হায়াক কেমব্রিজের ছাদে শুয়ে বোমারু বিমানের দিকে লক্ষ্য রাখছেন এগুলো তার অনেক পরের ঘটনা। সেই খোলা আকাশের নিচে বসে, বোমারু বিমানের শব্দের প্রতীক্ষা করতে করতে তিনি ডুবে যেতে লাগলেন এক প্রশ্নের সমুদ্রে। তিনি চিন্তা করলেন যে এখন সমাজ এক বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত উৎপাদন ব্যবস্থা ও তার বণ্টন পুরোপুরি রাষ্ট্রের অধীন। প্রত্যেক রাষ্ট্রই যুদ্ধের সময় এই পথ অবলম্বন করে। কিন্তু তারপর কী হবে। যুদ্ধ তো একদিন শেষ হবে, শান্তি আসবে। তখন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হবে। যুদ্ধকালীন অর্থনীতি তো শান্তির অর্থনীতি হতে পারে না। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষ সমাজতন্ত্র বা কম্যুনিজমের সপক্ষে কথা বলা শুরু করেছেন। তিনি এটা মানতে পারলেন না। তাঁর মতে কম্যুনিজম হল ফ্যাসিজমের সোপান বিশেষ। সমাজতন্ত্র যখন মানুষকে দেওয়া অঙ্গীকারগুলি পালন করতে অসমর্থ হয় তখন তা রূপান্তরিত হয় ফ্যাসিবাদে। তিনি দেখালেন মুসোলিনি থেকে কুইসলিং সবারই রাজনৈতিক প্রকাশ হয়েছিলো সমাজতান্ত্রিক নেতা হিসেবে। তিনি তাঁর অধীত অর্থনৈতিক আলো ফেললেন ব্যক্তি মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর–সমাজের ওপর। তাঁর ওই গভীর চিন্তার ফসল কেলাসিত হল যে বইটিতে তার নাম The road to serfdom। ২২৬ পাতার একটি পাতলা বই যার প্রথম প্রকাশ ১৯৪৪ সালে। তখন রেশনের যুগ, ভীষণ কড়াকড়ি; এতৎসত্বেও ১ বছরের মধ্যে ৬টি সংস্করণ হল। ১৯৪৫ সালে বইটা প্রকাশিত হল আমেরিকাতে। আর তারপর একটি সংক্ষিপ্তসার যেটি বিক্রি হল ১৬ মিলিয়ন কপি। তৈরি হল অর্থনৈতিক সাহিত্যের এক নতুন ইতিহাস।

হায়েক দেখালেন যে শিল্প বিপ্লবের পর গত শতাব্দীতে মানুষের যা উন্নতি হয়েছে তা অকল্পনীয়। আগামী দিনেও মানুষের উন্নতি ঘটবে ব্যক্তি মানুষের হাত ধরে। ব্যক্তি সত্তার উন্মেষের মধ্য দিয়ে। তিনি দেখালেন ফরাসি বিপ্লবের পর ব্যক্তি স্বাধীনতার যে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন হয়েছিল তা শুরু থেকেই শেষ করতে নেমেছিল সমাজতন্ত্রীরা। তিনি উদাহরণ টানেন একদম শুরুর দিকের সমাজতন্ত্রী সেন্ট সাইমনের। সেন্ট সাইমন লেখেন যে যারা এই কেন্দ্রীয় পরিকল্পিত অর্থনীতির অঙ্গ হতে চাইবে না রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে গবাদি পশুর মতো আচরণ করবে। উনি বলেন এই যুদ্ধোত্তর সমাজ হবে অনেক বেশি জটিল ও সম্ভাবনাময়। এই সমাজে অর্থনৈতিক উত্তরণ সম্ভব শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার হাত ধরে। এই প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত নিয়ে আনবে মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি। আর তার হাত ধরেই হবে মানব সভ্যতার উত্তরণ। বললেন সমাজের উৎপাদিকাশক্তি যত বেশি সংখক মানুষের হাতে থাকবে তত অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার পক্ষে সেটা সহায়ক হবে। তিনি বললেন রাষ্ট্রের লক্ষ্য রাখতে হবে সংগঠিত পুঁজি যাতে গড়ে না ওঠে কারণ সংগঠিত পুঁজি প্রতিযোগিতা ধ্বংসকারী মনোপলির জন্ম দেয়। তিনি বলেন এই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রর ভূমিকা হবে নিয়ামকের। তার শ্যেন দৃষ্টি থাকবে যাতে করে মনোপলি না গড়ে ওঠে। রাষ্ট্র তার চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী শ্রমিকের কাজের সময় একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি হবে না, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করতে পারে। যেমন মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সুনিশ্চিত করতে পারে। সুতরাং হায়েক স্থিতাবস্থাপন্থী ছিলেন একথা বলা যাবে না।

তিনি বললেন যখন আমরা Economic Motivation-এর কথা বলি তখন এটার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মানুষের মনস্তত্ত্ব। আমার রোজগারের টাকা আমি কী ভাবে খরচ করব এটা গুরুত্বপূর্ণ মনস্তত্ত্ব। যিনি সাহিত্যপ্রমী তিনি হয়তো খাবারের খরচ বাঁচিয়ে তার থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নতুন কবিতার বই কেনার জন্য সরিয়ে রাখবেন। আবার একই যুক্তিতে ব্যবসায়ী তাঁর পুঁজির প্রয়োজনে কিছু টাকা জমাবেন। যখন রাষ্ট্র তার এই খরচ করার স্বাধীনতা অর্থাৎ Freedom of Choice কেড়ে নেবে তখন সে আর স্বাধীন থাকে না। হায়েক বললেন যে কম্যুনিস্টরা শব্দের অপব্যাখ্যা করে মূল বিতর্কের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত। তাঁরা বলেন Economic freedom ছাড়া Political freedom-এর কোন মূল্য নেই। আসলে কম্যুনিস্টরা যেটা বলতে চায় সেটা হল সমাজে অর্থনৈতিক পুর্নবণ্টনের কথা কিন্তু সেটা তো এই উপপাদ্যর বিষয়বস্তু নয়। তিনি বললেন আসলে কম্যুনিস্টরা যখন বলে যে ব্যক্তির থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আমরা সমাজের ক্ষমতায়ন করেছি তখন তারা মিথ্যা কথা বলে আসলে তারা সেই মানুষগুলোর যারা কম্যুনিজমের নাম করে দেশের মানুষের ওপর ছড়ি ঘোরায় তাদের ক্ষমতায়ন করছে। এই যে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী যারা সমাজের নৈতিকতা থেকে বিজ্ঞানের গবেষণা কোন পথ ধরে এগোবে ঠিক করে অথচ তারা কেউই সমাজের কাছে উত্তর দিতে দায়বদ্ধ নয় এদেরকেই ফ্যাসিস্ট (Fascist) বলা হয়। আর তাই কম্যুনিস্টরা ফ্যাসিস্ট।

কিন্তু সবচেয়ে বেশি আক্রমণ তিনি করলেন আইনের শাসন নিয়ে। বললেন আইনের শাসন মানে আইন দ্বারা শাসন। বললেন আইনের শাসন মানে কতগুলো সঙ্কলিত বিধি। এবং যা হবে বহুল প্রচলিত। এর অর্থ দেশের মানুষ আইন সম্বন্ধে অবহিত হবেন এবং সেই অনুযায়ী তাঁদের জীবন নির্বাহ করবেন। কিন্তু একটা কম্যুনিস্ট (Communist) রাষ্ট্রে এই আইন সম্বন্ধীয় ধারণাটাই নেই। ফলে যে কোন মানুষকে একদল মানুষ যারা অনৈতিক ভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখে তাদেরকে যে কোন সময় যে কোন অভিযোগে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পারে। যে কোন প্রতিবাদের মূল্য হল মৃত্যু। এই ব্যাপারে কম্যুনিস্ট আর ফ্যাসিস্টের ভয়ানক মিল।

আমরা যদি এই কাঠামোতে আলোচনা করি তাহলে আমরা দেখবো যে কম্যুনিজম আর ফ্যাসিবাদ এক এবং অভিন্ন। ট্রটস্কির প্রতিবাদ শেষ হয় মেক্সিকোর পড়ার টেবিলে। যখন স্টালিনের গুপ্ত ঘাতক বরফ কুড়ুল দিয়ে টুকরো করে দেয় তাঁর মাথা। হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী বন্দি হয় গুলাগে। তারা হয় নতুন রাষ্ট্রের নব্য ক্রীতদাস। কুলাক নিধন হয় জাতীয় ক্রীড়া। ইহুদীদের অবস্থাও তথৈবচ। অরওয়েল লেখেন Animal Farm। এই সময়কার হিংসা ফুটে ওঠে Darkness at noon-এর প্রত্যেকটি ছত্রে। Gulag Archipelago লেখেন সলঝিনিৎসিন আর ওদিকে প্যাস্তেরনাক লেখেন Dr. Zivago। স্টালিনীয় সমাজের বিবর্তিত রূপ পাই 1984 বইতে। হাসি পায় যখন বামপন্থীরা ওই উপন্যাস থেকে উদাহরণ দেন। ওঁরা হয়তো জানেনই না যে ওই বইটা বামপন্থী সমাজ নিয়ে লেখা। ন্যূনতম ৬০ লক্ষ লোক জবাই হয় স্টালিনীয় কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রে ওই লৌহ যবনিকার অন্তরালে। শুরু হয় নব্য গুরুবাদের। স্টালিন যা বলেন তা পালন করাই একমাত্র কর্তব্য–এটাই হচ্ছে কম্যুনিসমের ঘনীভূত রূপ এবং ফ্যাসিবাদের আবশ্যিক অঙ্গ। ফ্যাসিবাদ আর কম্যুনিজম একাকার হয়ে যায়।

ঘরের কাছে চিনে চলে একই মারণযজ্ঞ। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে দলাই লামার ছবির যায়গায় টাঙ্গান হয় মাও সে তুঙের ছবি। বলা হয় চড়াই পাখি হল পুঁজিবাদের এজেন্ট। পুঁজিবাদী যেমন সবসময় ক্ষুদার্থ থাকে চড়াই পাখিও তাই। শুরু হয় চড়াই পাখি নিধন। দুর্ভিক্ষ গ্রাস করে চিনকে। মারা যায় ৪৫ লক্ষ মানুষ। কম্যুনিসম এর ঢক্কানিনাদ চলতে থাকে।

আমাদের দেশের কিছু মানুষ এখনও কম্যুনিজম এর স্বপ্ন দেখে। আদর্শ রাষ্ট্রের কথা বলে। কিন্তু বলে না স্টালিনের কথা। বলে না মাওয়ের কথা। এক Conspiracy of silence-এর হাত ধরে চলে ভাষ্য তৈরির প্রক্রিয়া। আজ পবিত্র ১ মে। এই দিনটাতেই প্রথম রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramakrishna Mission) বীজ প্রোথিত হয় ভারতের বুকে আজ যা মহীরুহ হয়ে দেশে বিদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক আশ্রয় দিচ্ছে। আজ আমাদের তাঁদের স্মরণ করার দিন। আসুন আমরা হাতে হাত রেখে বলি রামকৃষ্ণ শরণম্। বিবেকানন্দ শরণম্। জয় ভারত।

সৈকত বসু (Saikat Basu), আইনজীবী (Advocate), কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় (Kolkata High Court)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.