ত্যাগব্রত দিবসঋষি অরবিন্দ বলেছেন, সমগ্ৰ ভারতের হৃদয়ভূমি বঙ্গদেশে, বাংলার হৃদয়স্পন্দন ধ্বনিত হয় হুগলী জেলায়। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ইতিহাসেও হুগলী জেলার আঁটপুরের স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক অচিন্তনীয় ঘটনার ফলে আঁটপুর শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে উঠল। বাবুরাম মহারাজের (স্বামী প্রেমানন্দ) মায়ের নিমন্ত্রণে এই সময়েই আঁটপুরেরRead More →

১৮৯৮ সালের আগষ্ট মাস, স্বামীজি কাশ্মীরের জাগ্রত দেবীস্থান ক্ষীরভবানী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখলেন মন্দিরের নিদারুণ ভগ্নদশা। মনে তীব্র ক্রোধ আর হতাশা জন্ম নিল, মনে মনে প্রবল বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন মন্দির ধ্বংসকারী মুসলমানদের উপর। “যবনেরা এসে তাঁর মন্দির ধ্বংস করে গেল, তবু এখানকার লোকগুলি কিছুই করল না। আমি যদি তখনRead More →

গতবছর ঠেংড়ীজীর জন্মশতবর্ষিকী উৎযাপনের উদ্যোগ নিচ্ছিলাম। এক বামপন্থী বিচার ধারার মানুষ প্রশ্ন করলেন, আপনি জানেন, আপনাদের দত্তপন্থ ঠেংড়ী কখনো পুরস্কার গ্রহণ করেন নি, পারিতোষিক নেননি, বড় রাজনৈতিক পদ গ্রহণ করেন নি, মন্ত্রীসান্ত্রী হন নি। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ব্যক্তিপুজো, জন্মদিন পালনের বিরোধিতা করেছিলেন, নেতার নামে জয়ধ্বনির বিপক্ষে ছিলেন!Read More →

১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হল বিদ্যাসাগর প্রণীত কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্’ নাট্য-কাহিনীর বাংলা অনুবাদ ‘শকুন্তলা’। বিদ্যাসাগর কালিদাস সম্পর্কে এতটাই উচ্চভাব পোষণ করতেন যে, এই নাটক সম্পর্কে বলেছিলেন এক ‘অলৌকিক পদার্থ’; বলেছিলেন, “মনুষ্যের ক্ষমতায় ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট রচনা সম্ভবিতে পারে না।” কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্’ নাটকটি সাত অঙ্কে বিভক্ত; বিদ্যাসাগর মূল নাটকের আখ্যানভাগকে গদ্যরচনা হিসাবে রূপান্তরিতRead More →

(১)বাংলার বামপন্থী চিন্তাবিদেরা সব সময় প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বিদ্যাসাগরকে ধর্ম-উদাসীন মানবতাবাদী চরিত্র হিসাবে, তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু মূল সত্যিটা হল, পরাধীন ভারতবর্ষে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করলে দেশের সামাজিক সংস্কারের কাজ সুসম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে তিনি বাস্তববাদী ছিলেন। সেই পথে যেতে হলে তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপোষ করেছেন।Read More →

বলা হয় ঈশ্বর একজনই হন, দু’জন হন না। দু’শো বছরে বিদ্যাসাগরের জুড়িও পাওয়া গেল না। কারণ বিদ্যাসাগর হতে গেলে বিদ্যার সাগর যেমন হতে হয়; অক্ষয় মনুষ্যেত্বর অধিকারী দয়ার সাগরও হতে হয়; আর থাকতে হয় অজেয় পৌরুষত্ব। এই ত্রিনয়ন না থাকলে বিদ্যাসাগর হওয়া যায় না। হাজার বছর খুঁজলেও পাওয়া যাবে না।Read More →

২০ শে জুন, পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস। বাঙালি হিন্দুর বিজয় দিবস। একটি রথযাত্রার দিন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী (Shyamaprasad Mukherjee) তার মহান সারথী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রথ ছুটিয়ে নিয়ে দিল্লিতে চলেছেন। বাংলা মা ভারত মাতায় একাকার হবে।পশ্চিমবঙ্গ কেবল একটি প্রদেশের নাম নয়, কেবল পূর্বতন বঙ্গপ্রদেশের পশ্চিমাংশ নয়। পশ্চিমবঙ্গ একটি ভাবনার নাম, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালির অস্তিত্বেরRead More →

উপনয়নের পর, হিমালয় ভ্রমণের পূর্বের অবসরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘ পৃথ্বীরাজের পরাজয় ‘ নামে একটি বীররসাত্মক কাব্য। যদিও সেই কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি পরে আর পাওয়া যায় নি। কী ছিল সেই কাব্যে? কেন শিশু রবি পরাজিত হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজকে নিয়ে এমন কাব্য রচনা করতে গেলেন?রবীন্দ্র জীবনীকার প্রশান্ত কুমার পাল (Prashant Kumar Pal) এRead More →