বিশ্বে এমন কিছু মহামানবের উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই যাঁদের তুলনা কেবলমাত্র তাঁরা নিজেরাই।যেমন ঠিক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তুলনা কেবল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাথেই করা চলে। বীরসিংহের বীর শিশুকে নিয়ে কিছু লেখা একই জেলায় জন্মানো এই ভাগ্যবানের কাছে এক পরম উপাদেয় বিষয়, এতে কোন সন্দেহ নাই। সমাজ- সংস্কারক,শিক্ষাব্রতী, সাহিত্যিক ও মহামানব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরেরRead More →

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০- ১৮৯১) ছিলেন বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক। প্রকৃতপক্ষে এই সাহিত্যের দ্বারোদঘাটক তিনি। কারণ তার আগে বাংলা সাহিত্য মূলত পদ্যে রচিত হত; বিদাসাগরের দেখানো পথে হাঁটলেন পরবর্তী কালের সাহিত্যিকেরা। তিনি সৃজনশীল সাহিত্য সে অর্থে রচনা করেন নি। মূলত লিখেছেন সমসাময়িক কালের প্রয়োজন মেটাতে, শিক্ষায় পাঠ্যপুস্তক হিসাবে। কিন্তু তাঁর প্রতিটিRead More →

১) প্রথমে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখার একটি অংশ – ​ “মহাভারত পুরাণমধ্যে পরিগণিত নহে। ইহাকে ইতিহাস কহে। ইহাতে পাণ্ডবদিগের বৃত্তান্ত সবিস্তর বর্ণিত হইয়াছে।” (“ঋজুপাঠ ॥ তৃতীয় ভাগ: বিজ্ঞাপন”; বিভিন্ন গ্রন্থের ‘বিজ্ঞাপন’ – বিদ্যাসাগর রচনাবলী, ১ম খণ্ড​, তুলি-কলম প্রকাশনা ) ২) আবার “মহাভারত (উপক্রমণিকাভাগ​)” রচনায়, “জ​য়​” শাস্ত্রের ব্যাখ্যায়, এ তিনি লিখেছেন​- “রামায়ণRead More →

॥১॥ আধুনিক সংস্কৃতি ও সাহিত্যের দীর্ঘ-বিসর্পিত পথরেখা। আদি আছে, অন্ত নেই!… কুহেলিকার অস্পষ্টতায় ঢাকা সে ছায়াচ্ছন্ন পথে সবেগে যাত্রা করেছিলেন এক সবল মানুষ ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। প্রতিভাদীপ্ত তাঁর ললাট, হাতে উজ্জ্বল দীপশিখা। সে যাত্রীর নাম রামমোহন রায়। সংস্কৃতির সাগর-সঙ্গমের দিকে যাত্রাপথে তাঁর সঙ্গী হলেন আরও অনেক তীর্থপথিক। কলরবে মুখরিত হলRead More →

।।প্রথম।। হ্যারিসন সাহেব ছিলেন সেই সময় কলকাতার আয়কর কমিশনার। একদিন তিনি এলেন মেদিনীপুরে। কি করবেন? স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র অভিযোগ করেছেন । উপর তলা থেকে কড়া হুকুম আছে। মেদিনীপুরের কিছু মহকুমায় গ্রামে গঞ্জে ব্যবসায়ীদের ওপর অন্যায় হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছে । এ কথা শুনে বিদ্যাসাগর মশাই বাঙালি আফিসারকে নিয়মানুসারে কর ধার্যRead More →