তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পার্ষদ স্বামী অভেদানন্দ। ২ রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। অক্টোবরের দুই তারিখ নিয়ে বঙ্গবাসী তথা ভারতবাসীর একটি সম্ভ্রমের অন্তঃকরণ ও ইতিহাসও আছে; যেখানে বিতর্ক নেই, যেখানে রাজনৈতিক চালাকি নেই, যেখানে কথা ও কাজের মধ্যে ফারাক নেই। আছে কেবল আধ্যাত্মিক শান্তি, সৌভদ্র, ত্যাগ এবং ভালোবাসা। প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর একবার বলেছিলেন,Read More →

তিনি রানি রাসমণি। ১৮৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে মা ভবতারিণীর মূর্তি। ব্রিটিশ-ভারতের পটভূমিতে এত সাহসী, এত হিতৈষী-মহীয়সী নারীর দেখা পাওয়া যায় নি। একজন কৈবর্ত হয়েও দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে বরণ করে ভারতের আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জগতকে আরও প্রাণবন্ত মিলনক্ষেত্রে পরিণত করেছিলেন, যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। উনিশRead More →

একটি মানুষ সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে ওঠেন যখন তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কার্যকরী ও সুস্থ-সবল থাকে। একটি ফুল তখনই মনোরম যখন তার প্রতিটি দলের অস্তিত্ব সুন্দর ও নান্দনিক। তেমনই একটি সমাজ সার্থক, যখন তার প্রতিটি ব্যক্তিসত্ত্বা পূর্ণ, পবিত্র ও বিকশিত। আসলে ব্যক্তির সাধনা এবং সমষ্টির আরাধনা ভিন্ন নয়। ‘অহং’-এর মধ্যে ‘বয়ং’ সত্তাকেRead More →

স্বামীজী বলছেন, “This world is the great gymnasium where we come to make ourselves strong.” রাজযোগ গ্রন্থে আছে, এই দেহই আমার শ্রেষ্ঠ যন্ত্র, শ্রেষ্ঠ সহায়, চিন্তা করিবে — ইহা বজ্রের ন্যায় দৃঢ়,…. দুর্বল ব্যক্তি কখনও মুক্তিলাভ করিতে পারে না। সর্বপ্রকার দুর্বলতা পরিত্যাগ কর। শরীরকে বলো — তুমি বলিষ্ঠ। মনকে বলোRead More →

শিবাজী উৎসবের সূত্রে বাঙ্গলায় প্রতাপাদিত্য উৎসবে পৌরোহিত্য: কঠিন কাজটি করে দেখিয়েছেন সরলা দেবী। রবীন্দ্র-ভাগ্নী/মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৌহিত্রী/স্বর্ণকুমারী দেবীর কনিষ্ঠা কন্যা সরলাদেবী চৌধুরানী (১৮৭২-১৯৪৫)। তাঁকে আমরা নানান কারণে মনে রাখব। তার অন্যতম হচ্ছে বাঙালি বীরপূজার সূত্রপাত করে বাঙালি হিন্দুকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করা। সরলাদেবীর ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ এমনই এক ভাব-আরাধনার প্রয়াস, যেRead More →

একটি প্রচল কথা এইরকম, “একলা চরকায় স্বরাজ নেই।” অর্থাৎ কেবল চরকা কেটে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আসে নি। অহিংস আন্দোলনের পথেই কেবল স্বাধীনতা এসেছে, এটা সত্যি নয়। স্বরাজ সাধনার বহুতর ধারা – সহিংস, অহিংস, গুপ্ত বিপ্লব, আধ্যাত্মিক প্রেরণা ও প্রকাশ, সন্ন্যাসী সমাবেশ ও বিদ্রোহ, সেনা বিদ্রোহ, জনজাগরণ, শ্রমিক আন্দোলন, সংবাদপত্রের পাঠ ওRead More →

ভারতমাতা হচ্ছেন অখন্ড ভারতবর্ষের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, মাতৃকা সাধনার এক সনাতনী ভৌমরূপ। ভারতবর্ষ নামক এক অতুল্য দেশকে জননী জ্ঞানে শ্রদ্ধা ভক্তির নামই ভারতমাতা-পূজন। যে দেশে আমার জন্ম, যে দেশের সম্পদ গ্রহণ করে আমার এই শরীর, যে দেশের গৌরবে আমার অন্তঃকরণ আনন্দ লাভ করে, যে দেশ আমাকে অন্তরাত্মার সন্ধান দিয়েছে — তারইRead More →

“একদা শাক্যরাজপুত্র গভীর রাতে মানুষের দুঃখ দূর করবার সাধনায় রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে বেরিয়েছিলেন… সে তপস্যা সকল মানুষের দুঃখ-মোচনের সংকল্প নিয়ে। এই তপস্যার মধ্যে কি অধিকারভেদ ছিল? কেউ ছিল কি ম্লেচ্ছ? কেউ ছিল কি অনার্য? তিনি তাঁর সব-কিছু ত্যাগ করেছিলেন দীনতম মূর্খতম মানুষের জন্যে। তাঁর সেই তপস্যার মধ্যে ছিল নির্বিচারে সকলRead More →

আজ অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি থেকে শুরু হচ্ছে বসুধারা ব্রত। গ্রীষ্মের চরম দাবদাহকে মনে রেখেই এই ব্রত। গৃহাঙ্গনে রোপিত গাছগুলিকে সূক্ষ্ম জলের ধারা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার এক হিন্দু ব্রত ও আচার। ‘বসুধারা’ মানে পৃথিবী অথবা পৃথিবীর জল-সম্পদের স্রোত। বিবাহ উপলক্ষে সনাতনী হিন্দুর গৃহে দেওয়ালে আঁকা হয় সিঁদুরবিন্দুসহ ঘিয়ের পাঁচটি অথবাRead More →

পয়লা বৈশাখ যশোহর-নৃপতি মহারাজ প্রতাপাদিত্য (১৫৬১-১৬১১)-র রাজ্যাভিষেকের দিন। মহারাজের স্মৃতিকে যদি তুলে ধরি, তবে আত্মপ্রকাশ করবে আগ্রাসী মুঘলদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীন স্বরাজের আর এক আদর্শ স্থাপনের গল্প। যে রাজ্যের সীমানা ছিল ধূমঘাট থেকে পাটনা, পুরী থেকে চট্টগ্রামের সন্দীপ। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজেরও পূর্বে (১৬৩০-১৬৮০) বাংলা পথ দেখিয়েছিল মুঘলদের বিরুদ্ধে বীরত্বের প্রদর্শনে।Read More →