১৯৬২ সাল, ভারত-চীন যুদ্ধ (২০ অক্টোবর — ২১ নভেম্বর)-এর কাছাকাছি সময়। ত্রিভুবন নারায়ণ সিং (Narayan Singh) -এর সঙ্গে জহরলাল নেহেরু (Jaharlal Nehru) -র একটি কথোপকথনের কথা বলছেন দত্তপন্থ ঠেংড়ীজী। টি. এন. সিং উত্তর প্রদেশের মানুষ; পরে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী (১৮ ই অক্টোবর, ১৯৭০ — ৪ ঠা এপ্রিল, ১৯৭১) এবং তারও পরেRead More →

জ্যৈষ্ঠ্যমাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিনটিতে পালিত হয় আরণ্যক জীবনাভিজ্ঞতার এক অপরূপ কৃত্য ‘অরণ্যষষ্ঠী’। দিনটি জামাইষষ্ঠী, বাঁটাষষ্ঠী বা স্কন্দষষ্ঠী নামেও অভিহিত। অরণ্যের সঙ্গে এই দিনটি সম্পৃক্ত, সম্ভবত অরণ্য-কেন্দ্রিক সভ্যতার সঙ্গে মানুষের হারানো যোগসূত্রের সাক্ষ্য-বহনকারী একটি পার্বণ। যখন অরণ্য-মাতাই ছিলেন মানুষের বেঁচে থাকার যাবতীয় রসদদার। মানুষ যে যুগ থেকে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-ভেষজের জন্য নির্ভর করতোRead More →

যৌবন বয়সে দত্তপন্থ ঠেংড়ীজী গাঁয়ের কয়েক বন্ধু মিলে এক কৃতবিদ্য গুরুজির কাছে কুস্তি, লড়াই আর লাঠিখেলা শিখতে যেতেন। আখড়াটি পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে খুবই বিখ্যাত ছিল। অতি দ্রুত তারা খুবই পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন শরীরচর্চার নানান আঙ্গিকে। কিন্তু প্রতিদিন ফেরার সময় তারা লড়াইয়ের পোষাক পরে, ঢিণ্ডোরা পেটাতে পেটাতে, সোজা পথের বদলে আশেপাশের গ্রামRead More →

“হাটের লোকের পায়ে-চলা রাস্তার বাইরে আমাদের পা সরতে ভরসা পায় না বলেই আমাদের দেশে স্টাইলের এত অনাদর। দক্ষযজ্ঞের গল্পে এই কথাটির পৌরাণিক ব্যাখ্যা মেলে। ইন্দ্র চন্দ্র বরুণ একেবারে স্বর্গের ফ্যাশানদুরস্ত দেবতা, যাজ্ঞিক মহলে তাঁদের নিমন্ত্রণও জুটত। শিবের ছিল স্টাইল, এত ওরিজিন্যাল যে মন্ত্র-পড়া যজমানেরা তাঁকে হব্যকব্য দেওয়াটা বে-দস্তুর বলে জানত।”Read More →

গত ২৬ শে এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডাক্তার মোহনজী ভাগবত (Mohan ji Bhagwat) ‘বর্তমান পরিদৃশ্য এবং হমারী ভূমিকা‘ শীর্ষক যে ভাষণ দেন, তার অন্তর্গত পরিবেশ-সচেতনতার বিষয়ে যা যা বলেছেন, তার প্রেক্ষিতেই প্রস্তুত আলোচনা এবং বিচার বিশ্লেষণ। মোহনজীকে বরাবরই তাঁর ভাষণে ভারতীয় সংস্কৃতির নানান প্রেক্ষিত তুলে ধরতেRead More →

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক শ্রী মোহনজী ভাগবত (Shri Mohanji Bhagwat) -এর বক্তব্য শুনে লিখেছেন অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী (Dr. Kalyan Chakraborty)। ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০। ১. অনেক শতক পর বিশ্ব এই অভূতপূর্ব সঙ্কটের মোকাবিলা করছে। সবার মনে হচ্ছে ঘরে বসে আছি, আমাদের সব কাজ বন্ধ। কিন্তু সঙ্ঘের কাজ চলছে। মানুষেরRead More →

২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল যে শতবর্ষের স্মরণ ভারতবাসীকে করতে হয়েছিল, তা কোনো আনন্দের উৎযাপন ছিল না, কোনো মনীষার শুভ আবির্ভাব দিবসও ছিল না। তা ছিল মানুষের পাশবিক শক্তির অস্তিত্বের পরিচায়ক, ছিল এক কোট-প্যান্ট পরিহিত জাতির বর্বরতার ঝুলি থেকে চুঁইয়ে পড়া লোভ, ক্ষমতাদর্প ও নৃশংসতার প্রকাশ। এই আদিম হিংস্রতার অনুসন্ধান যদিRead More →

১৯১৪, ২৮ জুলাই : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল। ১৯১৫, ১৯ মার্চ : ‘ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯১৫’ বা ভারত প্রতিরক্ষা আইন নামক একটি জরুরী ক্রিমিনাল আইন প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার ভারতের সমস্ত জাতীয়তাবাদী ও বিপ্লবাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করতে চাইল, যাতে যুদ্ধের সময় দেশকে আইনের শাসনে এবং শাস্তিতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়Read More →

১৯১৯ সালের ১৩ ই এপ্রিল বৈশাখী উৎসবের দিন বিশ্বের অন্যতম নৃশংস ও বীভৎস হত্যাকান্ড সংগঠিত করে ব্রিটিশ সরকার। কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তি ভারতে সাম্রাজ্য দখলে রাখতে প্রায় ১৬০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এক হাজারের অধিক নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে এবং আরও কয়েক হাজার মানুষকে আহত করে, যদিও সরকারিভাবে নিহতRead More →

নেপালে (Nepal) রামায়ণ ও শ্রীরামকে জনপ্রিয় করে তোলেন নেপালী ‘আদিকবি‘ ভানুভক্ত আচার্য (Bhanuvokto Acharya) (১৮১৪ — ১৮৬৮)। এতটাই আকর্ষণ যে ভানুভক্তের রামায়ণ পাঠ করার আগ্রহে বহু নেপালী (Nepali) নিরক্ষরতা পরিত্যাগ করে বর্ণ পরিচয় ও পঠন-পাঠনের দৌলতে সাক্ষরতার দিকে এগিয়ে যায়। এই রামায়ণকে কেন্দ্র করেই নেপালী(Nepali) ভাষা গঠনমূলক পর্যায়ে পৌঁছে বিশ্বেRead More →