মাধাইপুর স্টেশনে নেমে শৌভিক পকেট থেকে পোস্টকার্ডটা বের করল। চিঠিতে বেশ প্রাঞ্জল ভাষায় পথনির্দেশ দিয়েছেন মহিলা। –মাধাইপুর স্টেশনে নামবে। স্টেশনের বাইরে অটোস্ট্যান্ড পাবে। অটোওয়ালাকে মাধাই আচার্যের আশ্রমে যাব বললেই তোমাকে পৌঁছে দেবে। আমার গুরুদেবের নামেই স্টেশনের নাম। এখানকার লােকেরা ওঁকে খুব শ্রদ্ধা করে। তােমার কোনও অসুবিধে হবে না। পােস্টকার্ড যথাস্থানেRead More →

সম্পাদকীয় প্রচ্ছদ নিবন্ধ মোহিত রায় শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সিদ্ধার্থ সিংহ ……  আগাম ইন্দ্রাণী সমাদ্দার……  ভয় দেবদাস কুণ্ডু ……. অলীক আনন্দ কল্যান সেনগুপ্ত ……. ভয় অণুগল্প চুমকি চট্টোপাধ্যায় ……. মুন্সী ফ্যমিলির লকডাউন সোমনাথ বেনিয়া …….. ঘা রম্যরচনা দর্পণা রায় ….. প্রশ্ন: বামাতি ও জামাতির তুলনা করো  বিশেষ রচনা ডা. শিবাজী ভট্টাচার্য…..Read More →

স্যার, আপনাকে অভিক রায় ডেকেছেন। ফ্লোরের পিয়ন এসে দাঁড়ায়। কে অভিক রায়? অনির্বাণের আজ প্রথম দিন নতুন অফিসে, ড্রয়িংহলে বসে একটু নিজের বইপত্র গুছিয়ে রাখছে, এমন সময় পিয়ন এসেছে। আজ্ঞে সামনের চেম্বারে উনি বসেন। মালিকের ভাগ্নে। গেল তাহলে। এনার কাছেও কি ইন্টারভিউ দিতে হবে? ভিতরটা গুড় গুড় করে ওঠে। কেমনRead More →

কোথায়ও একটা কোকিল ডাকছে। সামান্য বিরতি দিয়ে ডাকছে। ডেকে যাচ্ছে।  অদূরে আরিফ সাহেবের মিলের মাঠে নিঃসঙ্গ করবী গাছটায় বসে বুঝি ডাকছে। এর আগে আমি পার্কে কোকিলের ডাক শুনেছি। ভালো লেগেছে। আজ ডাকটা বড় মধুর লাগছে। কেন? জীবন ফুরিয়ে আসছে বলে? আমি বিছানায় শুয়ে আছি পাঁচ দিন। এক মাস ছিলাম হাসপাতালে।Read More →

 হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। এখন বৃষ্টি গ্রীষ্ম থেকে শীত হেমন্ত থেকে বসন্ত সব ঋতুতে বিরাজমান। দৈনন্দিন জীবনের নিত্য সঙ্গী। সুস্মিতার ভালো লাগে না বৃষ্টি। রাতের দিকে বৃষ্টি হলে গা ছমছম করে। লোডশেডিং-এ ঘরের ভিতর আলো-আঁধারি। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির ফলে বিদ্যুতের ঝলকানিতে ঘরের ভিতরটা মাঝে মাঝে আলোকিত হচ্ছে। ভয় ভয়Read More →

সামনে তাকিয়ে নাটুকে দেবু একেবারে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল। তার ছেলে এখানে কী করছে! ওই মৃতদেহের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে ও ভাবে কাঁদছে কেন ও! কে মারা গেছে! ও ভাবে কাঁদছে মানে তো যে মারা গেছে, সে ওর অত্যন্ত কাছের কেউ। আর ওর কাছের মানে তো তারও কাছের! কিন্তু কে Read More →

বেশ কয়েকবছর আগের কথা, পুরুলিয়া জেলা হাসপাতালে বাচ্চাদের ওয়ার্ডে ডিউটি করছি, খুব ব্যস্ত। পরপর ভর্তি হচ্ছে রোগী। মাত্র দুজন  সিস্টার। আমি অন্য ওয়ার্ডের স্টাফ। এখানের  স্টাফ আজ অনুপস্থিত থাকায় আমাকে পাঠানো হয়েছে সিডিউল স্টাফ কে সাহায্য করতে। এমারজেন্সি থেকে দেখিয়ে ভর্তি হতে  আসা রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে টিকিটের সাথে নাম, ঠিকানা মিলিয়ে বিছানা দেখিয়ে দিচ্ছি। একটা টিকিটেRead More →

কাটরার হোটেল থেকে তিনটে গাড়ি সকাল আটটায় একসাথে ছাড়ল। দুটো ছোট বাস যারা ট্রাভেল এজেন্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত ও সাইটসিন করবে এবং একটি শেভরোলে ট্যাভেরা যাতে পাঁচজনের একটি পরিবার যার ক্ষুদ্রতম সদস্য আট বছরের একটি মেয়ে। সঙ্গে আছে তার মা, বাবা, অকাল বার্ধক্যে নড়বড়ে দাদু আর অমৃতসর স্টেশনে নেমেই পাRead More →

মোবাইলে রিংটোন। (হাঁপাতে হাঁপাতে) শুচিস্মিতা: কেএএএএ– মা? কী করছিলাম? আর বল কেন? এই সাত সকালে  কত্থক নৃত্য প্রাকটিস্ করছিলাম। নাহ্, একটুও ফাজলামো নয় গো মা। এখানে সবাই সব সময় সিরিয়াস। আমি যদি ফাজলামো করি তবে হয় আমার  দীপান্তর….আরে না না… দীপান্তর হলে এই  সাত সকালে ছেলেকে রেডি করে খাইয়ে দাইয়েRead More →

একমাত্র ছেলেটা যে এভাবে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অঞ্জনা। আপাত গোবেচারা কিশলয় বিদেশে পড়তে গিয়ে বিদেশিনী সহপাঠিনী এলিজাকে বিয়ে করে এনে সোজা ঘরে তুলেছে । অঞ্জনা আর তাঁর স্বামী মানসও জীবনে ভাবতে পারেননি তাঁদের অমন শান্তশিষ্ট ছেলেটা ভাব-ভালোবাসা করবে আবার বিয়ে করে তাকে নিয়েRead More →