গত ১৪০০ বছরে সারা বিশ্বে কট্টরপন্থী মুসলিমরা জেহাদে উদ্দীপ্ত হয়ে, তরবারির সাহায্যে নৃশংস হত্যা আর ধর্ষণের মাধ্যমে ধর্মান্তরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। আধুনিক যুগে ‘আল তাকিয়া’র মাধ্যমে রাষ্ট্রশক্তিকে ছলেবলে কৌশলে দখল করে, রাজনৈতিক দলগুলির ভ্রষ্টনেতাদের কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় বসছে। সশস্ত্র দলবল নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় আসার মতো আজকের যুগে ইউরোপ, আমেরিকা (মধ্য, দক্ষিণ ও উত্তর), এশিয়া আর আফ্রিকায় মুসলিম আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ’তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। ইসলামের তিন সিদ্ধান্ত—কাফের, জিহাদ আর দার-উল-ইসলাম অথবা হারাবের তত্ত্ব ইসলামিক সন্ত্রাস ও সম্প্রসারণবাদের অভিন্ন অঙ্গ। লিবিয়ার প্রয়াত কর্নেল মুয়াম্মার গদ্দাফির ‘জনসংখ্যার বিস্ফোরণ আমেরিকার আণবিক বোমার বিস্ফোরণের চেয়েও সাংঘাতিক। বহু রন্ধযুক্ত বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে ভারতে অবৈধ মুসলিম অনুপ্রবেশের স্রোত অব্যাহত আছে শুধুমাত্র লোভী আর ভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায়। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অর্থাৎ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, নদীয়া, কোচবিহার, দুই ২৪ পরগনায় আজ হিন্দুরাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর সিপিএম, বর্তমানে শাসকদল তৃণমূল। দেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে, সংবিধান-বহির্ভূত আইনের সাহায্যে বহিরাগত মুসলমানদের ভারতের নাগরিকতার প্রমাণপত্র পর্যন্ত সরবরাহ করছে। কেন? শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ভোটের লালসায়। মুসলিম তুষ্টিকরণের’ প্রতিযোগিতা চলছে ২১টি বিরোধী দলের লোভী নেতাদের মধ্যে। মোদীকে দেশে এবং আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী উগ্র হিন্দুনেতা রূপে দেখিয়ে, মুসলমানদের মনে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করছে। বিগত নির্বাচনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে, বিজেপির যেসব প্রার্থী হেরেছেন, তাদের এলাকার ভোটারদের মধ্যে সংগঠিত মুসলিম ভোট এবং দ্বিধাবিভক্ত হিন্দু ভোটের কারণেই নিশ্চিত জয়ের মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। আগ্রহী পাঠকদের অনুরোধ করবো, খ্রিস্টান মিশনারি ডাঃ পিটার হ্যামন্ডের লেখা, ‘টেররিজম, স্লেভারি অ্যান্ড ইসলাম’বইটি অবশ্য পড়ার। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়। দেশভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমের সংখ্যা ছিল ১২% আর আজ সেই সংখ্যা হয়ে। দাঁড়িয়েছে ২৭%। কোনো কোনো শহরে তো ৬৭% পর্যন্ত। আর বাংলাদেশে ১৯৪৭ সালে। হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৩০% আর আজকে তা হয়েছে মাত্র ৭%। কারণ বলপূর্বক ধর্মান্তরণ, ধর্ষণ, হত্যা, অত্যাচার আর বিতাড়ন। পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার এবং বীরভূমের লাভপুর কেন্দ্র ছাড়াও অসংখ্য জায়গায় হিন্দুদের ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি। কারা বাধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতেও ? তারা শাসকদল আশ্রিত মুসলমান দুষ্কৃতী। গত কয়েক বছর ধরে মুসলিমদের দাঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের জনমানসে এক গভীর ষড়যন্ত্রের অশনি সংকেত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কেননা সংখ্যা বাড়লেই, তাদের দাবিদাওয়া মানতে বাধ্য থাকছে শাসকদল। হিন্দুরা বিতাড়িত হচ্ছে, শরিয়া আইন চালু হচ্ছে। মুসলমানদের চিরাচরিত পথ লাভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ এবং আতঙ্কিত হিন্দুদের উপর অত্যাচার আর শাসকদলকে হাতে রাখা। আজ পশ্চিমবঙ্গের আইনের ধ্বজাধারী পুলিশ পর্যন্ত মুসলিমদের শাসন মেনে চলতে বাধ্য থাকছে। কয়েকটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হবে।
২০০৭ সালে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশি লেখিকা ডাঃ তসলিমা নাসরিনের কলকাতায় আগমনে এক ভীষণ মারপিট ও দাঙ্গা শুরু হয়। মিলিটারি নামানো হয়, সরকারি বাস ও ট্রাম জ্বালানো হয়। কারণ বাংলাদেশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের অত্যাচারের উপর লিখিত এক করুণ উপন্যাস ‘লজ্জা’র উন্মোচনে আগ্রাসী। মুসলিমদের সংগঠন সিমি এবং পাকিস্থানের আই.এস.আই-এর সহযোগিতায় এটা ঘটে।ঠিক যেমন প্যারিসে ‘চার্লি হেবডো’র হত্যা হয়েছিল। ইসলামের কুকীর্তির কথা বা সমালোচনা করা যাবে না। তাহলেই সারা বিশ্বে আগুন জ্বলে উঠবে।
২০১৩ সালে কোনো একজন মৌলভির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসা নেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে হাজার হাজার নির্দোষ হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, হিন্দু মন্দিরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা, দোকান লুট করা, হত্যা, নারী অপহরণ ও ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ অনেক পরে আসে কিন্তু কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি। সরকার থেকে কোনো ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের। টিএমসির লোক বলে অপরাধী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার নামে পুলিশ কোনো এফ.আই.আর নেয়নি।
কালু সর্দার বা আজিজুল সেখের প্ররোচনায় ২০১৫ সালে ২৯শে জানুয়ারিতে কলকাতার শহরতলিতে জেহাদি গুন্ডারা হিন্দুদের প্রায় ৫০টি দোকান লুট করে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশের উপস্থিতিতেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সমস্ত কিছু জানলেও কোনো মন্তব্য বা সহায়তা করেননি আক্রান্তদের। সরকারের মদতে দুষ্কৃতকারীরা এতটাই সাহস পেল যে তারা পুলিশকে পর্যন্ত ধাওয়া করে অনেকের মাথা ফাটিয়ে দিল। কেউই ধরা পড়ল না।
২০১৭ সালে কলকাতার উপকূলে বসিরহাটের বাদুরিয়াতে শৌভিক সরকার নামের এক স্কুলছাত্রের ফেসবুকে কাবার ছবি ছাপানোকে কেন্দ্র করে, মুসলমানরা সঙ্বদ্ধ আক্রমণে বহু হিন্দুর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। বহু জাতীয় এবং বিদেশি পত্রপত্রিকায় এ ঘটনা স্থান। পেয়েছে।
জেহাদি মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গে জামাই আদরে পালিত হচ্ছে সেই কংগ্রেসের আমল থেকেই। সব দোষ, নন্দ ঘোষ’অর্থাৎ হিন্দুরাই অন্যায় করেছে, তাই জেহাদিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটাই নিয়ম। যেসব জেলায় অর্থাৎ মালদহ, মুর্শিদাবাদে, মুসলিম আধিক্য সেখানে হিন্দুরা কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না। তাদের দোকানে কোনো মুসলমান কিনবে না, কারণ তারা মালাউন বা কাফের। হিন্দুরা অত্যন্ত নগণ্য অবস্থায় মুসলিমদের তোষামোদ করে বেঁচে থাকে সেইসব এলাকায়। কেননা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান থেকে, কাউন্সিলার, এম.এল.এ আর এম.পি, থানার দারোগা থেকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আর স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা সবই মুসলমান অথবা মেরুদণ্ডহীন হিন্দু। তা না করে উপায় নেয় যে।‘জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই’? বর্তমান প্রতিবেদকের পৈতৃক বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে এখানে। এসব কী ভাবে হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য হজ টাউয়ার করে দিয়েছেন।‘অল আমিন’নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, সেখানে মুসলিম ছাত্রদের মাধ্যমিকের এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র লিক করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতায়। মুসলিম মেয়েদের সাইকেল, মুসলিম ছেলেদের ল্যাপটপ,মুসলিমদের জন্য টেকনিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ এমনকী হাসপাতাল পর্যন্ত করে দিয়েছেন। এটা বিভেদের রাজনীতি নয়। কি? মুসলমানরা গর্বের সঙ্গে নিজের ধর্মমত প্রকাশ করে। আর হিন্দুরা করলেই তাকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের রায় অমান্য করে ওয়াকফ বোর্ডের তহবিল থেকে মাসিক ‘ইমামভাতা’ ও ‘মুয়াজ্জিন ভাতার বন্দোবস্ত করেছেন। মমতা ব্যানার্জি হিজাব পরে ইফতার পার্টিতে যাচ্ছেন। তিনি ‘ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কথা অমান্য করে পাকিস্তানি নাগরিক, সিমির প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা ও “দৈনিক কলমের’সম্পাদক ইমরান হাসন’কে ভারতের পার্লামেন্টে তৃণমূলের যোগ্য সাংসদ হিসাবে পাঠাতেও দ্বিধা করেননি।
পশ্চিমবঙ্গ আজ পশ্চিমবাংলাদেশ হওয়ার পথে। হিন্দুদের সম্পত্তি মুসলিমরা সস্তায় কিনছে শুধুমাত্র ভয় দেখিয়ে, মাজার বানিয়ে, মসজিদ বানিয়ে, লম্বা দাড়ি আর জালিদার ফেজটুপির ভয় দেখিয়ে। বুদ্ধিজীবীরা ভয়ে মমতার জয়গান করছেন। বর্তমান প্রতিবেদক তথাকথিত শিল্পী শুভাপ্রসন্নর সল্টলেকের বাড়িতে গেছিলেন শুধু তাকে এইটুকু জানতে যে মমতা ব্যানার্জি কীভাবে বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জামাইতি-ইসলামির’ খপ্পরে পড়েছেন। এখন আর বেরিয়ে আসতে পারছেন না। সারদা-নারদা-রোজভ্যালি ইত্যাদি চিটফান্ডের টাকা কোথায় যায় জানেন? বাঙ্গালি হিন্দুর শেষ সম্বলটুকু নিঃশেষ করে, বাংলাদেশে অবস্থিত, সৌদি আরবের টাকায় পালিত এবং পাকিস্তানি আই.এস.আই-এর সাহায্যপুষ্ট ইসলামিক সংগঠনগুলিতে।
আমরা রাজনীতির লড়াই করে নিজেরা নিজেদের মেরে ফেলছি। বলুন তো কতগুলো জেহাদি মরেছে রাজনৈতিক হিংসায়, দাঙ্গায় বা পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে ! মুঘলযুগে রাজপুতরা নিজেদেরকেই মারতো যুদ্ধে বাদশাদের খুশি করতে। পুষ্পেন্দু কুলশ্রেষ্ঠের মতে ৪২ হাজার ভারতীয় সৈন্য শহিদ হয়েছে। শুধুমাত্র কাশ্মীরের জঙ্গিদমনে। আর কট্টরপন্থীরা সমানে সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরাতে এদের সাহায্য নিয়ে সি.পি.এমের খুনি ক্যাডাররা স্বয়ংসেবকদের রুটিনমাফিক খুন করতো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হিন্দু ভোটারদের বোকা বানাচ্ছেন। সব জায়গায় হিজাব পরে, রোজা রেখে, ইমাম বরকতি, সিদ্দিকুলা চৌধুরী, ত্বহা সিদ্দিকি প্রভৃতি মৌলবিদের কথায় ১০ হাজার বেআইনি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলা ভাষাকে ইসলামিক ভাষায় পরিণত করেছেন। রথযাত্রা, রামনবমী, দুর্গা বা সরস্বতী পুজায় বহু স্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। অন্যদিকে দেশপ্রেমের পাঠশালা সরস্বতী শিশু মন্দিরগুলি সাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে নিষিদ্ধ করার মতলব করছেন।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলির কারবার কিন্তু রমরমা। এর একমাত্র সমাধান এরাজ্যের মানুষ সচেতন হয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে প্রকৃত দেশপ্রেমিক সরকারকে। তবেই এই বিভীষিকাময় রাজত্বের অবসান হবে।
আর. এন দাস
2019-11-08

