ভ্রাতৃত্বের প্রতীক রাখি

বাঙ্গালিদের মধ্যে একটা কথা বহুল প্রচারিত— ‘বারােমাসে তেরাে পার্বণ’। সারা বিশ্বে অন্য কোনাে জাতি, গােষ্ঠী বা সম্প্রদায় নেই যারা হিন্দুদের মতাে বিশেষ বাঙ্গালি হিন্দুদের মতাে এত সব উৎসব বা পার্বণ পালন করে। উৎসব প্রিয়তা হিন্দুদের একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য। ভারতবর্ষ এমন এক বিচিত্র দেশ সেখানে রয়েছে বহু মত-পথ-ভাষা, রীতি-নীতি, খাদ্যাভ্যাস, পােশাক-পরিচ্ছদ ও উপাসনা পদ্ধতি।তবুও এদেশের হিন্দু সমাজে বিরাজমান বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য। তবে এই ঐক্যকে সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছে হিন্দুত্ব। আর হিন্দুত্বই হচ্ছে ভারতবর্ষ ও ভারতবাসীর প্রাণভােমরা। তাই তাে কবি অতুলপ্রসাদ লিখেছেন—

“নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখাে মিলন মহান।”

সত্যি বলতে কী, ভারতকে আজও ঐক্যবদ্ধ বা অখণ্ড রেখেছে একমাত্র হিন্দুত্ব। তার প্রমাণ ভারতের যে স্থানেই ফাটল ধরেছে বা মানুষের মানসিকতা থেকে হিন্দুত্ব’বিদায় নিয়েছে, সেই স্থানেই দেখা দিয়েছে ভারতবিরােধী বিচ্ছিন্নতাবাদ। উদাহরণ : কাশ্মীর, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। রাখিবন্ধন বা রক্ষাবন্ধনও ভারতের অসংখ্য উৎসবের মধ্যে একটি। রাখি মানে রক্ষা। আর বন্ধন মানে বাঁধা। অর্থাৎ রাখিবন্ধন মানে বাঁধনের দ্বারা রক্ষা করা। তাই রাখি হলাে রক্ষার প্রতীক বা দ্যোতক। তাইতাে এই রক্ষার প্রতীক হিসেবে আমরা বেছে নিই একগাছি রঙিন সুতাে। শ্রাবণীপূর্ণিমা তিথিতে আমরা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের হাতে রাখি বেঁধে দিয়ে। তাদের বিপদআপদ থেকে মুক্তি, মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পবিত্র ও শুভ রাখিবন্ধন উৎসব পালনে ব্রতী হই। তাই এই উৎসব এক প্রকার সামাজিক উৎসবও বটে। তবে এই উৎসবের সুচনা কবে হয়েছে তার কোনাে ঐতিহাসিক প্রমাণ না মিললেও অতি প্রচীনকাল থেকেই যে এই সামাজিক উৎসবটি চলে আসছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে রাখিবন্ধন উৎসবের একটি ধর্মীয় দিকও রয়েছে।

দেব-দেবীর পূজার্চনার সময় মূর্তির সামনে আম্রপল্লব, ডাব-সহ জলপূর্ণ ঘট স্থাপন করে ঠিক তার চারপাশে দণ্ডায়মান চারটি তিরকাঠিকে পাঁচ বা সাত পাক লালসুতাে দিয়ে বন্ধন করা হয় ঘটটির রক্ষার্থে। ওই একই উদ্দেশ্যে কখনাে কখনাে দেব-দেবীর হাতে বাঁধা হয় রঙিন সুতাে। আজও গ্রামে-গঞ্জে ওই একই কারণে বিশেষ তিথিতে অঙ্গবদ্ধ বট-পাকুড়ের পুজো হয়। অনেককেই বৃক্ষযুগলকে রঙিন সুতাে দিয়ে বেষ্টন করতে দেখা যায়। আবার কোনাে কোনাে জাগ্রত দেব-দেবীর মন্দির সংলগ্ন ডালিম, বট, পাকুড়, অশােক ও নিমগাছে বা ডালে কোনাে কোনাে ভক্ত বাঁধেন লাল তাগা। আর তারা এসব করেন ওই বৃক্ষসমূহের মাহাত্ম্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনাৰ্থে ও দীর্ঘায়ু কামনায় যাতে ঝড়ঝঞার হাত থেকে তারা রক্ষা পায় বা কেউ তাদের অনিষ্ট করে। পরিবেশপ্রেমীরা যে। ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’-এর কথা বলেন, তার মুলেও রয়েছে বৃক্ষরক্ষণ। বৃক্ষরােপণ অভিযান বা অরণ্য সপ্তাহ পালনেরও মূল উদ্দেশ্য বৃক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সবুজকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ। কারণ জীবকুল ও বৃক্ষকুল পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।তাছাড়া, যজ্ঞােপবীতধারীরা উপবীত ধারণ করেন শুধু বর্ণ পরিচয়ের নিমিত্তই নয়, দেহ ও মনকে পবিত্র রেখে ধর্ম রক্ষার স্বার্থে। হাতে বিপত্তারিণীর লালডাের পরার উদ্দেশ্য বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া। তাছাড়া শাস্ত্র-পুরাণাদি, রামায়ণ ও মহাভারতেও রয়েছে রক্ষাবন্ধনের নানা উদাহরণ।

বামন পুরাণে বামন অবতাররূপী বিষ্ণু দানবরাজ বলিকে পাতালে পাঠিয়ে দিলে বলি বিষ্ণুর ধ্যানে মগ্ন হন। ধ্যানে তুষ্ট বিষ্ণু বলির আলয়ে আশ্রয় নেন। এদিকে পতিবিরহে আকুল বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মীদেবী এক ব্রাহ্মণীর বেশে বলির নিবাসে আশ্রয় নিয়ে শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে বলির হাতে রাখি বেঁধে দেন। ভবিষ্য পুরাণে দেবাসুরের যুদ্ধে দেবকুলের পরাজয় নিশ্চিত অনুমান করে দেবর্ষি নারদ দেবতাদের রক্ষার্থে তাদের হাতে রাখিবন্ধন করেন। আবার দেবরাজ ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে যুদ্ধে পরাজিত না করতে পেরে তাঁর গুরু বৃহস্পতির শরণ নিলে গুরু ইন্দ্রজায়া শচীদেবীকে একগুচ্ছমন্ত্রপুতসূত্র প্রদান করেন। শচীদেবী সেই সূত্রগুচ্ছ দেবরাজ ইন্দ্রের হাতে বেঁধে দিলে তিনি যুদ্ধে জয়ী হন। মর্যাদা পুরুষােত্তম শ্রীরামচন্দ্র পত্নী সীতাদেবীকে উদ্ধারের নিমিত্ত রাক্ষসরাজ রাবণের বিরুদ্ধে নর-বানরের যুদ্ধে ভক্ত হনুমানের সহায়তায় বানররাজ সুগ্রীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের নিদর্শনস্বরূপ সুগ্রীব-হনুমান-সহ অন্যান্য বানরদের মণিবন্ধে বেঁধে দেন ফুলডাের। সদ্যোজাতকর্ণের হাতে মাকুন্তীর রক্ষাসূত্র বেঁধে জলে ভাসিয়ে দেওয়া বা শ্রীকৃষ্ণের হাতে মা যশােদার রঙিনসূত্র বন্ধন— এগুলি সন্তানের মঙ্গল কামনায় রাখিবন্ধন ভিন্ন আর কিছু নয়। এছাড়াও রাখিবন্ধন বিষয়ক অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও রয়েছে। মধ্যযুগে নারী তার সম্মান রক্ষার তাগিদে অপরিচিত পুরুষ হলেও তার হাতে রাখিী বেঁধে তাকে ধর্মভাই করে নিত। ধর্মভাইও নিজের জীবন তুচ্ছ করে তার ধর্মবােনের সম্ভ্রম রক্ষায় ব্রতী হতাে। আবার যুদ্ধযাত্রাকালে মা তার বীরপুত্রের হাতে, বােন তার বীরভ্রাতার হাতে সুরক্ষা, যুদ্ধজয় ও মঙ্গল কামনায় রাখি বেঁধে দিত। একদা চিতাের বাহাদুরশাহ দ্বারা আক্রান্ত হলে চিতােরের মহারানি কর্ণাবতী, মােগল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে তাঁর কাছে রাখি পাঠান। চিতােরের পতন হলে সম্রাটের পৌঁছনাের আগেইরানি জহরব্রত পালন করেন।

রাষ্ট্রহিত তথা দেশাত্মবােধেও রাখিবন্ধন সমভাবে প্রযােজ্য। ভারতশাসক কার্জন সাহেব। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের ঘােষণা দিলে বাঙ্গলার মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। কবিগুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধনের মহত্ত্ব ও ঐক্যভাবের কথা উপলব্ধি করে ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ রদের নিমিত্ত কলকাতার রাজপথে বিশাল শােভাযাত্রা বের করে রাখিবন্ধন উৎসব উদ্যাপনের মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গ বিরােধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেন। হাজার হাজার জনতা সেদিন রাজপথে নেমে অখণ্ড বঙ্গের দাবিতে সােচ্চার হন। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়। কবিগুরুর সেই জাতীয়তাবাদী দেশাত্মবােধক গানটি—

“বাঙ্গলার মাটি, বাঙ্গলার জল, বাঙ্গলার বায়ু, বাঙ্গলার ফল।

পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, হে ভগবান।।”

বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়। অবশেষে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। রাখিবন্ধন উৎসব তাই একটি জাতীয় উৎসব। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সজ্ঞা তাই এটিকে সঙ্ঘ উৎসব রূপে গ্রহণ করেছে। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ব্যতিরেকে মানুষের উন্নয়ন অসম্ভব। তাছাড়া সঙ্ঘ একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেই সুবাদে সমাজের উন্নয়নই সঙ্ঘের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯২৫ সাল থেকেই সঙ্ঘ সমাজ সংস্কারের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্র জাগরণ করে চলেছে। হিন্দু সমাজের সবচেয়ে বড়াে পাপ অস্পৃশ্যতা, উঁচু-নীচু ভেদাভেদ, বর্ণবৈষম্য ও ঐক্যহীনতা। এইসব কারণে ভারত বার বার বিদেশি আক্রমণকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এসেছে শক, হুন, পাঠান, মােগল, পােতুগিজ, ইংরেজ। তারা ভারতবর্ষকে প্রায় হাজার বছর ধরে নির্বিচারে শাসন, শােষণ, উৎপীড়ন, লুণ্ঠন, নারী নির্যাতন ও শ্রদ্ধার কেন্দ্রবিন্দুগুলি ধবংস করেছে। ফলে ভারতবাসীর মনে জন্ম নিয়েছে বংশানুক্রমিক দাসত্ব, ভীতি ও হীনমন্যতা। তারা হিন্দুত্ব ও হিন্দুস্থানকে ভুলতেই বসেছিল। রাষ্ট্রসাধক ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ভারতবাসীর মনােরােগ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, আপামর ভারতবাসীর মনে বদ্ধমূল হয়ে থাকা মানসিক রােগ সারাতে হলে প্রয়োজন মানসিক চিকিৎসা, যা রাজনৈতিক পথে নয়, একমাত্র সম্ভব সমাজ সংগঠনের মাধ্যমে। তাই তাে তিনি নাম, যশ, অর্থ ও প্রতিপত্তিকে তুচ্ছ জ্ঞান করে প্রতিষ্ঠা করলেন একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সেবাধর্মী সংগঠন— রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সজ্ঞা। এর দৈনন্দিন শাখায় শারীরিক ও বৌদ্ধিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দৈহিক ও মানসিকভাবে সংস্কারিত হচ্ছে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ । সদ্য হচ্ছে মানুষ নির্মাণের সংগঠন (ম্যান মেকিং অর্গানাইজেশন) এবং শাখা হচ্ছে মানুষ তৈরির কারখানা (ম্যান মেকিং ওয়ার্কসপ)। ১৯২৫ সালে ডাঃ হেডগেওয়ার ভারতের মাটিতে রাষ্ট্র সাধনার যে বীজটি বপণ করেছিলেন সেটি আজ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে ফুলে, ফলে মহীরূহে পরিণত হয়েছে। মহীরূহরূপী সেই সজ্ঞা আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন (বিবিসি-র ভাষ্যানুসারে)। তবে বলতে বাধা নেই, আজও সমাজে অস্পৃশ্যতা, বৈষম্য ও জাতিভেদ রয়েই গিয়েছে। এর জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদী শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিভেদমূলক তথা জাতপাতের রাজনীতি, দেশাত্মবােধের অভাব ও রাজনীতির দুবৃত্তায়ন। সদ্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে এইসব অপরাধের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার প্রয়াস করছে। সঙ্ঘের তৃতীয় সরসঙ্ঘচালক প্রয়াত বালাসাহেব দেওরসজী বলেছেন, “অস্পৃশ্যতা পাপ না হলে পৃথিবীতে পাপ বলে কিছু নেই।

অস্পৃশ্যতা, ভেদাভেদ ও বর্ণ-বিদ্বেষকে সমাজের শরীর থেকে মুছে ফেলতে রাখিবন্ধনকে সর্বব্যাপী করেছে সঙ্ঘ। রাখির কোনাে জাত নেই, বর্ণ নেই, সমাজ নেই। রাখির একটাই ধর্ম ভ্রাতৃত্ব। রাখিবন্ধনের মাধ্যমে তাই তাে সজ্ঞা অবহেলিত, পিছিয়েপড়া, শােষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ, বনবাসী, গিরিবাসী, ধনী, নির্ধন অর্থাৎ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এভাবে ভারতবর্ষে এমন এক ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গড়ে তুলতে চাইছে, যেখানে থাকবে না কোনাে ভেদাভেদ বা বৈষম্য। পুরাকালে ভারতীয় সমাজে ভেদ-বৈষম্য, জাতপাত, ছুত-অচ্ছুত ইত্যাদি ছিল না। তার প্রমাণ হলাে শবরীর দেওয়া ফল শ্রীরামচন্দ্র আহার করেছিলেন, লঙ্কাযুদ্ধে তিনি বনবাসী বানরকুল ও রাক্ষসবংশীয় বিভীষণের বন্ধুত্ব ও সাহায্য নিয়েছেন। কুরুক্ষেত্রের ময়দানে অধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন যেমন শ্রীকৃষ্ণ ও পাণ্ডবকুল তেমনি মহাবীর ঘটোৎকচও। তাছাড়া শাস্ত্রে তাে রয়েছেই— ‘অমৃতস্য পুত্রাঃ’ (ঈশ্বরের পুত্র সবাই), বসুধৈব কুটুম্বকম্ (পৃথিবীর সবাই আত্মীয়), ‘সর্বে ভবন্তুসুখিনঃ সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ’ (সবাই সুখী হােক, সবাই নীরােগ হােক), ‘সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং সংবােমনাংসি জানতাম’ (এক সঙ্গে চলাে, এক সঙ্গে বলাে, সবার মনােবাসনা এক হােক), ‘সর্বজন হিতায়’ (সবার মঙ্গল হােক) প্রভৃতি অমৃত বচন। তবুও কেন এই বিভেদ-বৈষম্য !

রাখি একগুচ্ছ সুতােমাত্র নয়। এর সঙ্গে মিশে আছে স্নেহ, ভালােবাসা ও শ্রদ্ধার ভাব— এক ঐক্য, আত্মীয়তার বাঁধন। রাখিবন্ধন উৎসবই পারে মানুষের মন থেকে বৈষম্য দূর করে ঐক্য স্থাপনা করে বিজিগীষু মানসিকতা সৃষ্টি এবং স্বাভিমান জাগ্রত করে পরম বৈভবশালী রাষ্ট্রনির্মাণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে— যা ছিল ডাক্তারজীর স্বপ্ন। যেদিন তার । সেই স্বপ্ন পূরণ হবে সেদিন সঙ্ঘের রাখিবন্ধন উৎসব পালন হবে সার্থক। সত্যিই আজ একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, সামাজিক সদ্ভাব ও সমরসতা সৃষ্টিতে রাখিবন্ধন উৎসবের কোনও বিকল্প নেই।তাই রাখিবন্ধনের দিন এই হােক সবার কথা

মন করেছি, পণ করেছি, আজকে পুণ্য প্রাতে,

ভালােবাসার রঙিন রাখি বাঁধব সবার হাতে। রাখি, বলাে রাখি।

ধীরেন দেবনাথ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.