করোনা সংক্রমণের জোন ভাগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে ছাড়ল কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় বিধি মেনে সংক্রমণের জোন ভাগ করার ক্ষমতা রাজ্য প্রশাসনের হাতে ছাড়া হল। নতুন জোন-বিধি এবং নয়া ছাড়ের ব্যাপারে সোমবার বিশদ নির্দেশিকা জানাতে পারে নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে বেশ কিছু ছাড়ের ঘোষণা করবে নবান্ন। রবিবার রাতে চতুর্থ দফা লকডাউন ও বিধি নিষেধ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে সব রাজ্যের মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা (Rajiv Gouba)। সূত্রের খবর, তিনি রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে দ্রুত অনুমতি দিতে। যাতে রেল আরও ট্রেন চালিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লার (Ajay Bhalla) প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক বা একাধিক রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে চালু করা যেতে পারে যাত্রিবাহী বাস অথবা গাড়ি। ১২ মে থেকে দেশের ১৫টি গন্তব্যে বিশেষ এসি ট্রেন চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেই ট্রেন এবং শ্রমিক স্পেশাল আপাতত চালুই থাকবে। কিন্তু, বিমান পরিষেবা এখনই শুরু হচ্ছে না। আন্তঃরাজ্য সব ধরনের পণ্য পরিবহণেও ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে, যেহেতু বিভিন্ন রাজ্যে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অল্প হলেও শুরু করা হয়েছে, সেই কাজে গতি আনতেই মূলত রেড জোনে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নে রাজ্যের হাতে অধিকার দেওয়া হয়েছে।

দিন কয়েক আগেই রেড জোনকে তিন ভাগে ভাগ করে অর্থনৈতিক গতিবিধি শুরু করার নীতি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee )। রেড জোনের ‘এ’ এলাকায় কোনওরকম ছাড় থাকবে না। ‘বি’ এলাকাগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই ছাড় দেওয়া হবে এবং ‘সি’ এলাকায় প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত সেই নীতি মেনেই এগোতে চায় পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিধি নিষেধ সংক্রান্ত ছাড় পাওয়ার পর তা কাজে লাগিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.