২১ জুলাই সমাবেশের আর দিন ১৫-ও বাকী নেই! অথচ দলের যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় কারও জানা নেই। রবিবার সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিধাননগর সুইমিং পুল ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা মুকুল রায় আবার তাঁর এমন “গায়েব” হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে উস্কে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তিনি বলেছেন, “যিনি এখন তৃণমূল চালাচ্ছে আগে খোঁজ নিন তিনি কোথায়। লন্ডন না সুইজারল্যান্ডে।” ঝানু রাজনীতিক মুকুলের এমন কটাক্ষের নিশানা যে তৃণমূলের “যুবরাজ” অভিষেক, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। তারপর থেকেই সংবাদজগৎ থেকে শুরু করে অভিষেকের যুব সংগঠনের অনুগামীরা খোঁজ করতে নেমে পড়েছেন তাদের প্রিয় যুবনেতার। কিন্তু খোঁজ মেলেনি! কালীঘাটের বাসভবনে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা দেখা করতে গেলেও কিঞ্চিৎ কদাচিৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা পান।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাপিত্যেশ করে ফিরে আসতে হয় যুব সভাপতির দর্শন না পেয়ে। কিন্তু ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি যেখানে তুঙ্গে হওয়া উচিত, সেখানে সভাপতি বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে! কারণ ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে যুব সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ২১ জুলাই নিয়ে বরাবরই সক্রিয় ছিলেন অভিষেক। গত বছর এই সময় পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে বিশাল জনসমাবেশ করতেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। কিন্তু লোকসভা ভোটে শোচনীয় পরাজয় জেরে এবার সেই পরিকল্পনায় ঘাটতি পরেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মাসখানেক আগে তৃণমূল ভবনে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক সেরেই নিজের দায়-দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছেন অভিষেক। কালীঘাটের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানাচ্ছে, ২১ জুলাইয়ের দিন কয়েক আগেই আবারও দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাংসদ ভাইপোকে! তৃণমূলের এক যুবনেতা জানাচ্ছেন, “দল দলের মত ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সভাপতি যথা সময়ে এসে হাল ধরবেন।” অনেকে আবার তাঁর এমন অন্তরালে থাকার ঘটনাকে “ভোট গুরু” প্রশান্ত কিশোরের কৌশল বলেও ধরছেন।