একদিন আগে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ। ১০ জন নতুন তারকাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তালিকা ঘোষণা করার একদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অদিতি মুন্সিও পেয়েছে স্থান। তবে বাদ পড়েছে একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রী। আর সেই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভও অনেক। বিধায়ক মন্ত্রী আর এতদিন ধরে দলের হয়ে কাজ করা নেতারা টিকিট না পেয়ে দলও ছেড়েছেন। এই নিয়ে আপাতত জেরবার তৃণমূল।
তবে, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নেই ফিল্ম স্টারদের জৌলুস। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, ভূমিপুত্রদেরই দেওয়া হয়েছে টিকিট। আর সেই কারণেই হয়ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর এখনও পর্যন্ত বিজেপির নেতাদের কোনও ক্ষোভ দেখা যায়নি। তৃণমূল প্রথম থেকেই বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়ে এসেছে। আর সেই বিজেপিই তাঁদের প্রার্থী তালিকায় ‘বহিরাগত” তকমা ঘুচিয়ে দিয়েছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছে আদিবাসী, অপশিলি জারি আর উপজাতির একাধিক নেতারা।
আরেকদিকে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীকেই প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তারকা বলতে একজনই। আর তিনি হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। তবে ওনাকে এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আরেক জায়গায় প্রার্থী করেনি বিজেপি। অশোক দিন্দা ময়নার ভূমিপুত্র। সেখানেই ওনার জন্ম। আর সেখান থেকেই তিনি প্রার্থী।
আরেকদিকে, শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শ্রীমতি চন্দনা বাউরি। ভদ্রমহিলার স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। বিজেপির দাবি, সমাজের সর্বস্তরে থেকে রাজনীতির আঙিনায় প্রতিনিধি তুলে এনেছি আমরা। বিজেপি নেতারা জানায়, পরিবারের গণতান্ত্রিক চেতনা, সোনার বাংলা গড়ে তুলবে বাঙালি সমাজের প্রতিটা স্তর।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় কোনও চমক না থাকলেও রয়েছে তুখর রণনীতি। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিরাগত আক্রমণকে ভোঁতা করতেই ভূমিপুত্রদের প্রার্থী করেছে মোদী-শাহ। আর সবথেকে উল্লেখনীয় বিষয় হল, বিজেপির তালিকায় স্থান পেয়েছে আদিবাসী, তপশিলি জাতি-উপজাতি প্রার্থী।