ঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহন ও গণনার দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রত্যেক বুথে একশ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনির দাবি তুলে ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেন। বালুরঘাট মহিলা কলেজে ভোটের প্রশিক্ষনরত সরকারী কর্মী শিক্ষকরা দাবী তোলেন যে রাজ্য সরকারের পুলিশ নয় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া তাঁরা কেউ বুথমুখি হবেন না। এই দাবীতে প্রশিক্ষন কেন্দ্রে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে প্রশিক্ষণ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন প্রশিক্ষক আধিকারিকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন জেলা নির্বাচন দফতরের আধিকারিকরা।
আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় বালুরঘাট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন। পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌছে গেলেও, দক্ষিণ দিনাজপুরে রবিবার পর্যন্তও তা পৌছায়নি। গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় ব্যপক হিংসার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছিল। ভোটে হিংসার বলি হয়েছিলেন চার জন।
পঞ্চায়েতের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা আজও জেলাবাসীর মুখে মুখে। এবারের সাধারণ নির্বাচনেও যাতে একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ ভোট কর্মীরা। ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে নিরাপত্তা সু-নিশ্চিন্ত করার জন্য প্রশিক্ষক আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন ভোট কর্মীরা। তাঁদের দাবি নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক বুথে চার জনকরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিযুক্ত করতে হবে। নচেৎ তাঁরা কেউই ভোট করাতে বুথে যাবেন না।
বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রশিক্ষণ। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানা থেকে ছুটে যায় পুলিশ। এমনকি জেলা নির্বাচনি দফতর থেকে নির্বাচনি আধিকারিকরাও কলেজে গিয়ে পৌঁছান।
বিক্ষোভরত এক ভোট কর্মী জানিয়েছেন যে তাঁরা প্রথমে জেনে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই এবার ভোট পরিচালনা করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানতে পারছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী সব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা আজও তাঁদের কাছে জীবন্ত। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবারের ভোটে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এদিকে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে দেবজিৎ বোস জানিয়েছেন ভোট কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল প্রত্যেক বুথের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। এব্যাপারে উর্দ্ধতন আধিকারিকরা বিষয়টি কমিশনের নিকট পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা।