#BREAKING: ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরে ঢুকে বেপরোয়া গুলি-বোমা-ভাঙচুর

রেল অবরোধ উঠলেও ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া। একদল দুষ্কৃতী ভাটপাড়া পুরসভায় ঢুকে পড়ে  বেপরোয়া ভাঙচুর শুরু করে। বোমা ও গুলি চলে বলেও অভিযোগ। মারধর করে  কর্তব্যরত পুরকর্মীদের। বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয়। পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া থানাও ঘেরা করে বিক্ষোভকারীরা। ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।

দুপুর বারোটা নাগাদ দুষ্কৃতীদের একটি দল আচমকা ভাটপাড়া পুরসভায় ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর ও বোমাবাজি শুরু করে। অভিযোগ, ঘরের ছাদ গুলিও ছোড়ে তারা। পুরসভা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্রও লুঠপাট করা হয়।

ভাটপাড়া থানার ঠিক উল্টো দিকে ভাটপাড়া পুরসভার প্রশাসনিক ভবন। অফিসের ব্যস্ত সময়ে পুরসভায় বিভিন্ন প্রয়োজনে এসেছিলেন সাধারণ মানুষজন। অতর্কিত হামলা এতটাই জোরদার ছিল যে মানুষ ভেবেছিলেন জঙ্গি হামলা হয়েছে। ভয়ে আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করেন মানুষজন। শিশু কোলে ছোটার সময় পড়ে গিয়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। পুরসভা লাগোয়া হাসপাতালেও ভাঙচুর করা হয়। ঘোষপাড়া রোডে দুটি দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । এখনও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। দোকানপাট বন্ধ। ঘোষপাড়া রোডে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

পুরসভা লাগোয়া থানাও ঘেরাও করে দুষ্কৃতীরা। অতিরিক্ত বাহিনী এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান পবন সিং বলেন, তৃণমূলের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। পুরসভার ভিতরে ঢুকে সমস্ত ভাঙচুর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। লুঠপাট চালিয়েছে। পুরসভা লাগোয়া হাসপাতালে ঢুকেও তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের ব্যারাকপুর লোকসভার সাংগঠনিক সভাপতি নির্মল ঘোষের পাল্টা দাবি, “অর্জুন বাহিনীর জন্যই বারবার ভাটপাড়ার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ দিন যারা পুরসভা ও লাগোয়া হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.