ধর্ম, ভাষা ও ভূখণ্ডের প্রেক্ষাপটে আজকের বাঙ্গালি

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন, ডঃ মহম্মদ শহীদুল্লাহ, আচার্য সুনিতীকুমার চট্টোপাধ্যায়, আচার্য সুকুমার সেন, আনিসুজ্জামান, আহমেদ রফিক প্রমুখরা দেখিয়েছেন যে বাংলাভাষার বয়স হাজার বছরের সমতুল্য। ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে বাঙ্গালিত্বের পরিচয় দেবার সময় পালবংশের কথাই বলা হয়। এটিই যথার্থ পদক্ষেপ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে পালবংশের রাজাদের নামে কোনো রাস্তা বা স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় না। অথচ ৭৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রায় চারশো বছর ধরে একনাগাড়ে পাল রাজারা বঙ্গদেশ শাসন করে গেছেন। এই পালবংশের শাসনকালে বঙ্গদেশের রাজনৈতিক সীমানা কনৌজ পঞ্জাব অবধি বিস্তৃত হয়েছিল। শুধু রাজনৈতিক নয়, শিক্ষাঙ্গনেও বঙ্গপ্রদেশের গৌরব নালন্দা, বিক্রমশীলা, জগজ্জীবনপুর বিহারের খ্যাতির মতো ভারতের বাইরেও বিস্তৃত হয়েছিল।
বাঙ্গালি বলতে বাংলাভাষী হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজনকেই বোঝায়। উল্লেখনীয় যে ১৮৭১ সালের জনগণনাতে সারা বঙ্গপ্রদেশে বাঙ্গালি হিন্দুর সংখ্যা মুসলমানদের চেয়ে বেশি ছিল। কারণ উনিশ শতকে হিন্দু বাঙ্গালি আসমুদ্রহিমাচল বিজয়ী হয়েছিল। পাশাপাশি রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের মতো বিশ্বমাপের বাঙ্গালিরও আবির্ভাব হয়েছিল। সেসময়। ১৯৪৭ সালে অখণ্ড ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ কোটি, মুসলমান। জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৯ কোটি এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫০ লক্ষর মতো। আলি জিন্নাহ এবং মুসলিম লিগের দাবি অনুসারে হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক জাতি। এরূপ দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষ হলো দ্বিখণ্ডিত। একপ্রকার জোর করে। একটি হিন্দু অধ্যুষিত খণ্ডিত গণতান্ত্রিক ভারত, অন্যটি ইসলামিক স্টেট পাকিস্তান। উল্লেখ্য, সংবিধান প্রণেতারা ভারতকেই কখনোই সেকুলার শব্দে ভূষিত করেননি। ১৯৪৭ সালে বঙ্গপ্রদেশদু-ভাগে বিভক্ত হলো। একটি হল কোরান ভিত্তিক পাকিস্তানের অন্তর্গত পূর্ব বঙ্গ যা অধুনা বাংলাদেশ এবং অন্যটি গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ। বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা আনুমানিক ১৬ কোটি ৩০ লক্ষের মতো (বর্তমান বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু বাঙ্গালির সংখ্যা ২৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে)। আর পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৩৬ জন (জনগণনা ২০১১। এখানে সংখ্যালঘু মুসলমান জনসংখ্যা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৭.১ শতাংশ হয়েছে)। জেনে রাখা দরকার, ১৯৭১ সালের জনগননা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ৪.৫ কোটি। পশ্চিমবঙ্গের পর ভরতে সবচেয়ে বেশি বাঙ্গালি বাস করেন অসমে। ২০১১জনগননা অনুযায়ী, আসামে মোট জনসংখ্যা হলো ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৬ হাজার ৫৭৬ জন। স্বাধীনতার পর অসমে হিন্দু এবং মুসলমান বাংলা ভাষাভাষীদের যথেষ্ট অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এসবই ১৯৪৭ সালের বিকলাঙ্গ স্বাধীনতা প্রাপ্তির বিষময় ফল।
যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বাংলাভাষী হিসেবে যাঁরা বাঙ্গালি বলে পরিচিত, তাঁদের ৭০ শতাংশই মুসলমান। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতি বাঙ্গালি। অর্থাৎ বাঙ্গালির উত্তরাধিকার বলতে সংখ্যাগত দিক থেকে বাঙ্গালি মুসলমানকেই বোঝায়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মানলে এই রূঢ় সত্য মানতেই হবে। বাংলাদেশি মুসলমান বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন যে সংখ্যাগত ভাবে মুসলমান বাঙ্গালিই সংখ্যাগরিষ্ঠ। অতএব মুসলমান বাঙ্গালিই বাঙ্গালি বিশেষণ ব্যবহারের বৈধ উত্তরাধিকারী। অন্তত গণভোটের রায়ে মুসলমান বাঙ্গালিই আসল বাঙ্গালি হয়ে যেতে পারেন একথা অনেকেই মনে করেন। ১৯৪৭ সালে অখণ্ড বঙ্গের জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ ছিল অমুসলমান। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ হিন্দু, ৪ শতাংশ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। ৫৪ শতাংশ ছিল মুসলমান জনসংখ্যা। ৭০/৭২ বছরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা ৫৪ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬৭/৬৮ শতাংশ। অপরদিকে হিন্দু বাঙ্গালির সংখ্যা ৩০/৩১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাকি ২ শতাংশ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান।
দুর্ভাগ্য, বঙ্গপ্রদেশে নবজাগরণ হয়েছে। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে অবশ্যই সর্বাগ্রে। রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, বিদ্যাসাগরের মতো বিশ্বমাপের বাঙ্গালির আবির্ভাব এই বঙ্গপ্রদেশে। তা সত্ত্বেও বাঙ্গালি হিন্দুর সংখ্যা কমে গেল। কেন? অন্যদিকে যেখানে মুসলমান শাসন কেন্দ্রীভূত হয়েছিল কয়েক শতাব্দীকাল ধরে, সেই উত্তর ভারতে (আর্যাবর্তে) মুসলমান। সংখ্যা এত কম কেন? এ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আপাদমস্তক তথাকথিত সেকুলার অন্নদাশংকর রায়। তিনি বলেছিলেন, পঞ্জাবে ও বঙ্গপ্রদেশে মুসলমান সংখ্যা এত বেশি কেন? তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, উত্তর খোঁজেননি। এখনও উত্তর খোঁজা হচ্ছে না। অথচ উত্তর খোঁজাটা এবং জানাটা জরুরি বিষয়।
আবার বাংলাভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বব্যাপী পালনে বাংলাদেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দীর্ঘকালব্যাপী আন্দোলন এবং আত্মত্যাগই সর্বাগ্রে। সে কথা ইতিহাসই সাক্ষ্য দেয়। আর ইতিহাস এজন্য হয়তো পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন। কেননা, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারির । শেকড় ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বঙ্গে। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী বলেছিলেন। পাকিস্তানের সমগ্র জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ ছিল পূর্বপাকিস্তানের বাংলাভাষাভাষী। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। দিনটা বৃহস্পতিবার। ঢাকা শহরের বিশাল রমনার প্রান্তর। সেদিন সকাল থেকেই রমনার মাঠ মুখর হয়ে উঠছিল—‘উর্দুনয়, বাংলাভাষা রাষ্ট্র ভাষা চাই। তখন নির্মম নিষ্ঠুর শাসকশ্রেণী তার উদ্যত রাইফেলের গুলি বাংলাভাষা মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামের সৈনিক বরকত, রফিক, সালাম, জব্বারদের দেহকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। ফলে। জন্ম নেয় ভাষা আন্দোলনের বহ্নিশিখা। এরপর । এল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। বাংলাদেশেমুক্তিযুদ্ধের সাফল্য। সেদিন পালিত হয় বিজয় দিবস। ফলস্বরূপ জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। রাষ্ট্রভাষা হয় বাংলা। সেই ঐতিহাসিক কারণেই ১৯৯৮ সালের ২৯শে মার্চ ‘বিশ্ব মাতৃভাষা প্রেমিক সংস্থা কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করার প্রস্তাব গ্রহণ করে। ওই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছিলেন আলবার্ট ভিনজন, কারমেন ক্রিস্টোবাল, জেসন মরিন, সুসান হজিনবা, কেলভিন চাও, নাসরিন ইস্লাম, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ ৭টি ভাষার দশজন ভাষাপ্রেমিক পণ্ডিত। এরই সূত্র ধরে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইউনেস্কো মহান ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বের পালন করার প্রস্তাব গ্রহণ করে। এরপর ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উৎসব।
একটা কথা জেনে রাখা ভালো, ভাষা ও উপভাষার মধ্যে পার্থক্য কী, তা সঠিকভাবে এখানে চিহ্নিত করা যায়নি। এ বিষয়ে ভাষাতত্ত্ববিদদের মধ্যেই কোনো মতৈক্য গড়ে উঠেনি এখন পর্যন্ত। বর্তমানে ছয় হাজারের একটু বেশি মাতৃভাষা রয়েছে পৃথিবীজুড়ে। ভারতেই রয়েছে সর্বমোট ১৬৫২ টি মাতৃভাষা।
রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ থাকা সত্তেও বাঙ্গালির সংখ্যা আনুমানিক ৩০শতাংশে নেমে গিয়েছে। অসম, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ধরে। এছাড়াও সমগ্র বঙ্গভূমির দুই-তৃতীয়াংশ হিন্দু বাঙ্গালির হাতে নেই। কী বিচিত্র পরিহাস ইতিহাসের। ভূমি ও জনসংখ্যা দুভাবেই হিন্দু বাঙ্গালি আজ সংকুচিত।
যদিও শতাংশের বিচারে মুসলমানদের জীবন ও জীবিকা আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভীষণ নিম্নগামী। আর বাঙ্গালি হিন্দুদের । আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই উধ্বগামী। ১৮৮৮ সালে ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার লিখেছিলেন—“অতীতে একজন উচ্চকুলের মুসলমানের গরিব হওয়া ছিল অসম্ভব। এখন ধনী থাকা প্রায় অসম্ভব।” ২০০৫ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে ১১৭ বছর পরেও সেই। তথ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সামগ্রিকভাবে দেশের মুসলমান সমাজ সারা দেশে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও আরও বেশি বেশি দরিদ্র হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তিন তালাক আইন মুসলমান সমাজের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কতটা কল্যাণকামী প্রভাব ফেলবে, তা আগামী দিনই সাক্ষ্য দেবে। তবে তা সময়সাপেক্ষ। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ২৭.১ শতাংশ হলেও (যদিও তা এখন ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে মনে করা হয়।) সরকারি ক্ষেত্রে মাত্র ৪.২ শতাংশ মুসলমান। অথচ গুজরাত রাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যা সেই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫.৪ শতাংশ হলেও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুসলমান কর্মচারী ৯.১ শতাংশ। কঠিন বাস্তব এটাই যে পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের গরিষ্ঠঅংশ যেভাবে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে একচেটিয়াভাবে সমর্থন করে আসছে এবং এসেছে, অর্থাৎ কংগ্রেস জমানায় কংগ্রেসকে, বামফ্রন্ট জমানায় বামফ্রন্টকে কিংবা তৃণমূল জামানায় তৃণমূলকে, গুজরাতের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা নয়। অথচ শতাংশের বিচারে গুজরাতের মুসলমানেরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বহু রাজ্যের চাইতে অনেকটাই ওপরে। অন্তত ২০০৫ সালের সাচার কমিটির রিপোর্ট তো একথাই বলে। এও হয়ত ইতিহাসেরর একটা খেলা যা আমাদের মতো আত্মকেন্দ্রিক ও ভোটকেন্দ্রিক মানসিকতার ধ্বজাধারী মানুষদের বুদ্ধির অগম্য।
স্বাধীনতা প্রাক্ পর্বে বাঙ্গলার সর্বস্তরে সিংহভাগ মানুষের মনোভাব ছিল, আমাদের যত সমস্যা সেসবের জন্য একমাত্র ইংরেজ শাসন দায়ী। পরবর্তীকালে এটি জাতীয় মুদ্রাদোষে পর্যবসিত এবং যা এখনও রয়েছে। এই আচরণকে এ যুগের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণরা মুদ্রাদোষ বলছেন। এরই পাশাপাশি, ১৯৭৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত হিন্দু বাঙ্গালিরা নিজেদের অসামর্থ্যতা, নিশ্চেষ্টতা এবং অপরাগতা ঢাকতে সব ব্যাপারে কেবলই কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা আর দোষ খুঁজে বেড়াই। যে কোনো ব্যতিক্রমী দিকে আমরা যুক্তির পরাকাষ্ঠায় স্বাভাবিক ও সার্বজনীন করে তুলি। ১৯০৯ সালে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ভিন্ন আঙ্গিকে যথার্থই লিখেছিলেন—“বাঙ্গালির মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার।
আসলে ৭৫০ বছরের পরাধীন মানসিকতার উত্তরাধিকারী হিন্দু বাঙ্গালি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে আমাদের সুবিধাবাদী ব্যবহার সত্ত্বেও আমরা চিরন্তনভাবে, নিজেদের অস্তিত্বের কারণে, এক নৈতিক জগতের অধিবাসী। আমাদের ভাসাভাসা নৈতিক উৎকৃষ্টতা ও কাজকর্মে প্রকটঅনৈতিকতা এই দুয়ের মধ্যে কোনো অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। এ ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করে আমরা অধিকাংশই এগিয়ে চলেছি এক গড্ডলিকা প্রবাহে।
নারায়ণ শঙ্কর দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.