স্বস্তি দিয়ে টানা দু-দিন কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। কিছুটা কমেছে দেশের দৈনিক মৃত্যু সংখ্যাও। মহামারী (Pandemic) মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে (States), লকডাউন (Lockdown) -সহ একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারই জেরে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে খানিকটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার দেশের স্বাস্থ্যদফতরের (Health Ministry)পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে দেশের করোনা (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯২১ জন। যা শুক্রবারের থেকে অনেকটাই কম। গতকাল আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬১৭ জনের। গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যাও। গতকাল মারণ ভাইরাসে বলি হয়েছিল ৩ হাজার ৬৬০ জন। গত একদিনে সুস্থ হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬০১ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি পৌঁছেছে ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১১ জন।এই মহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস (Active Case) ২২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৪। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.৮০ শতাংশ। গত একদিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৮ জনের।
মহামারী মোকাবিলায় দ্রুত টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে টিকাকরণের গতি বাডা়তে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তবে টিকার জোগান চাহিদার (Demand) নিরিখে অত্যন্ত কম থাকায় সমস্যা বাড়ছে। রাজ্যগুলিকে নিজেদের উদ্যোগে টিকা সংগ্রহ করতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখানেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি। টিকা উৎপাদনকারী একাধিক সংস্থা রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে চুক্তিতে (Deal) যেতে নারাজ। টিকা বিক্রি সংক্রান্ত সব চুক্তিই অধিকাংশ সংস্থা কেন্দ্রের সঙ্গেই করতে আগ্রহী। টিকা কিনতে গ্লোবাল টেন্ডার (Global Tender) ডেকেও সাড়া পায়নি একাধিক রাজ্যের সরকার।
অপরদিকে করোনা মহামারীকে সামাল দিতে ৩১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত করোনার ত্রাণসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। এবং করোনা সম্পর্কিত মেডিক্যাল সরঞ্জামের উপর অ্যাডহক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ও কার্যকর থাকবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে কোভিড ভ্যাকসিনের কর ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৮ জুনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।