বিজেপি সংখ্যাটা যতই কম বলুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত যে এবার রাজ্যের ৪২টি আসনের সবক’টিই পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার দৌলতে লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী অধ্যায়ে সর্বভারতীয়স্তরে বড় অবদান রাখবে তাঁর দল। নির্বাচনী ইস্তাহারেও তাই সর্বভারতীয় বিষয়কেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্তাহারে বিভেদের রাজনীতি রুখতে ঐক্যবদ্ধ ভারতের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোয়।
সমালোচনায় তিরবিদ্ধ করা হয়েছে নোটবন্দি, জিএসটি-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে। এই সব সিদ্ধান্তের দেশবাসী কতটা দুর্গতির মধ্যে পড়েছেন, তা-ও ইস্তাহারে তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে রাজ্য সরকার কী কী কাজ করেছে, সেগুলোও। রাজ্যের যে প্রকল্পগুলো দেশের মডেল হয়ে উঠেছে, রাজ্যের যে প্রকল্পগুলোকে আন্তর্জাতিক দুনিয়া সম্মানিত করেছে, ইস্তাহারে তার ওপরও জোর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, গুর্খালি এবং অসমিয়া- এই ছয় ভাষায় এবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দিতে চাইছে, সর্বভারতীয়স্তরে ঘাসফুল শিবিরের গুরুত্ব ঠিক কতটা।
তবে, ইস্তাহার বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল চারটায় প্রকাশ করলেও, ২ এপ্রিলের আগে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। কালীঘাট এবং নবান্ন থেকেই গোটা প্রচারপর্বে তিনি ‘মনিটরিং’ করবেন। জ্যোতিষের কথামতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। তবে, ভিনরাজ্যে তার আগেই প্রচার সারতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে জ্যোতিষী কোনও বাধা দেননি।
সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ব জাহিরের চেষ্টা চালাবেন মমতা। ৩১ মার্চ তাঁর বিশাখাপত্তনমে সভা করার কথা রয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডুর আয়োজিত সেই সভায় কেজরিওয়াল, ওমর আবদুল্লা, অখিলেশ যাদব এমনকী, মায়াবতীও হাজির থাকতে পারেন। এছাড়া অসমে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে ধুবড়ির বাঙালি প্রভাবিত এলাকার দৌলতে তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ভালো জনসমর্থন রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে, ৫ এপ্রিল ধুবড়িতে সভা করতে পারেন মমতা।