দেশজুড়ে চলছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের উৎসব লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ ( Lok Sabha Election 2019) । দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গত ১১ই এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে, ওই দিন দেশের ৯১ টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। ওই ৯১ টি আসনের মধ্যে এরাজ্যের দুটি আসন ছিল, সেগুলো হল কোচবিহার আর আলিপুর দুয়ার।
মোট সাত দফায় হবে দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ ( Lok Sabha Election 2019 )। নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে এরাজ্যেও সাত দফায় নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আর সেই সাত দফার মধ্যে সর্বশেষ দফায় কলকাতার যাদবপুরে (jadavpur constituency) নির্বাচন হবে। যেখানে শাসক দল তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে শান্তিনিকেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিজেপির প্রার্থী অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) সাথে।
ওই কেন্দ্রে অনুপম হাজরার নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির শক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে তৃণমূল সিপিএম ছেড়ে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এটাই ভাবাচ্ছে শাসক দল তৃণমূলকে।
এমনকি বছরের প্রথম দিনেও তৃণমূলের ঘর ভাঙলেন বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। গতকাল পয়লা বৈশাখে নির্বাচনী প্রচার সেরে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন অনুপম হাজরা, তখনই তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এসে অনুপম হাজরার হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে।
তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ তৃণমূলের শাসনে যাদবপুর (jadavpur constituency) গুন্ডারাজে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে সন্ত্রাস, তোলাবাজি আর সিন্ডিকেট রাজত্ব চলছে। এরফলেই আমরা বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম, আগামী দিনে বিজেপির ছত্রছায়ায় যাদবপুরে গুন্ডারাজ খতম হবে।”
এদিন শুধু মহিলা তৃণমূল কর্মীরাই না, বিজেপিতে যোগ দেন এক ঝাঁক বুদ্ধিজীবী। এরা পেশায় কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। কেউ বা অধ্যাপক। তাঁদের সবার বক্তব্য অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা বলেন, ‘ শুধু যাদবপুরেই না! রাজ্যের সব যায়গায় চলছে তৃণমূলের তোলাবাজি, সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট রাজ। আর তৃণমূলের এই গুন্ডারাজকে খতম করার জন্যই মানুষ ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপিতে যোগদান করছেন।”