ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় (Bhangore)। শনিবার রাতে যুব তৃণমূল (TMC) নেতা সওকত আলি মোল্লার ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়, চলে ইটবৃষ্টিও। আহত হন ভাঙড়-১ নম্বর ব্লকের যুব তৃনমূলের সভাপতি বাদল মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুর এলাকার গোবিন্দপুরে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তাঁকে গ্রেপ্তারির দাবিতে রবিবার সকাল থেকে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছের কাইজার। তাঁর পাল্টা দাবি, “দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। গ্রাম্য বিবাদেই জখম হয়েছেন সওকত আলি।”
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সওকত মোল্লার দাবি, “অবরোধ-বিক্ষোভ করে কোনও সমাধান হয় না। তাই প্রশাসনকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিলই। এদিন সেই লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূলের এক গোষ্ঠী ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছিল, সেই সময় বাদল মোল্লা সহ যুব তৃণমূলের একটি দল ওই এলাকাতে ছিল। কাদের ত্রাণ দেওয়া হবে তা নিয়ে তালিকা বানানো হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, শনিবার রাতে গোবিন্দপুরের দলীয় কার্যালয়ে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। সেখানে বাদল মোল্লারা ছিলেন পরে বোমাবাজিতে উত্তাল হয় গোটা এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এমনকী যুব তৃণমূলের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
নিজের এলাকায় বোমাবাজি হচ্ছে দেখে তৃণমূল নেতা আইনাল মোল্লা সহ দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেখতে যায়। তখন তাদের লক্ষ্য করে এল পাথারি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই যুব সভাপতি সহ আহত হন প্রায় ১৫ জন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় তৃণমূলেরা নেতা কাইজার আহমেদ ও তাঁর দলবলের দিকে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের কাছে কাইজারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়।