তৃণমূল ইউনিয়নের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ৭৮/১ রুটের বাস অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। ব্যস্ততম এই রুটের বাস প্রতিদিন খড়দহ থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত যাতায়াত করে। বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা।
রবিবারের সকালে আচমকা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাধে। ওই রুটের বাসের তৃণমূল ইউনিয়নের সম্পাদক রাজু ঘোষের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয় থেকে শুরু করে কর্মীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি রাজু ঘোষ তৃণমূল নেতা হওয়ায় দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
বাধ্য হয়েই পথে নামেন বাসস্ট্যান্ডের কর্মী থেকে শুরু করে বাস মালিকরা। অভিযুক্ত রাজু ঘোষের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে পোস্টারিং শুরু করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস স্ট্যান্ড চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
এদিকে বাস না পেয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এক যাত্রীর কথায়, “আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এখন শুনছি বাস চলবে না। কী যে ভোগান্তি! এখন পুরো ঘুরে উল্টোদিক থেকে বাড়ি ফিরতে হবে। কখন, কীভাবে ফিরব জানা নেই।”
বিটিরোডের উপর দিয়ে হাতিবাগান, কলেজস্ট্রিট যাওয়ার জন্য কার্যত এই বাসটিকেই চোখ বুজে ভরসা করেন সাধারণ মানুষ। যদিও, ইউনিয়নের এক কর্মীর কথায়, “আজ আমরা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি। বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য় হয়েছি। রাজু ঘোষের যথাযথ শাস্তির দাবি করছি আমরা। রাজু শাস্তি পেলেই আমরা অবরোধ তুলে নেব। অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধ থাকবে না।”
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও বাস বন্ধ হবে না। আইন আইনের মতো চলবে। বাস বন্ধ করে নিত্যযাত্রীদের কোনওভাবে অসুবিধা করা যাবে না।”
প্রসঙ্গত, খড়দহে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রথম নয়। উপনির্বাচনে শোভনদেব প্রচারে আসতেই দলের তরফে কারা স্বাগত জানাবে তাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বেধে গিয়েছিল। প্রকাশ্যে সেই সংঘর্ষ সামনে আসতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। ফের বাস বন্ধকে কেন্দ্র করে আরও একবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। যদিও এই ঘটনায়, বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।