মুকুলকে বলা হয়েছে গদ্দার, শুভেন্দুকে মীরজাফর।
এরপর?
তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, এরপর দলের বিধায়ক সহ এত নেতা-কর্মী বিজেপি তে যোগ দেবে যে গদ্দার আর মীরজাফরের প্রতিশব্দ খুঁজে পাওয়া যাবে না!
আগামী ১২ জানুয়ারী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে আবার কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন তাঁর উপস্থিতিতে আবার বড় ভাঙ্গনের শব্দ পাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়ক সব মিলিয়ে একঝাঁক নেতা-নেত্রী শাহের হাত থেকে নিজেদের হাতে তুলে নেবেন পদ্ম-পতাকা।
ভাঙ্গন প্রক্রিয়ার যাঁরা কারিগর, তাঁদের মতে একের পর এক জেলা তৃণমূল শুন্য হতে দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের কাঁধে ভর করে মমতা দল কে চারাগাছ অবস্থা থেকে আজকের জায়গায় এনেছেন, তাঁরা একে একে বিজেপিতে যোগ দেবেন, এমনটাই অভিমত ভাঙ্গনের কারিগরদের।
সৌগত রায়ের মত নেতা, যিনি নিশ্চিত ভাবে মনে রাখতে পারেন না নন্দীগ্রামে কত তারিখে ১৪ জন নিহত হয়েছিল পুলিশের গুলিতে, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সম্ভবত ১৪ মার্চ গুলি চলেছিল।’ সেইসব নেতাদের ‘চিৎকার’ আর্তানাদের মত শোনাবে আর কিছু দিন পর। কতজন কে তাঁরা বিশ্বাসঘাতক বলবেন? এমনই কথা উঠে আসছে তৃণমূলের ভাঙ্গনপ্রবণ অংশ থেকে। যে অংশটি মাপে ও মানে বিশাল। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন দলের বিজেপিমুখী অংশের সামনের সারির নেতারা।
Mgid
OLYMP TRADE
A Guy From Kolkata Has Become Rich Using This Method
LEARN MORE→
একদা মমতার অতি ঘনিষ্ঠ, শুভানুধ্যায়ী, অনেকক্ষেত্রে সুপরামর্শদাতা, আজ তাঁকে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও নাকি দু’তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়!
যাঁরা দলকে তিলে তিলে বড় করেছেন, তাঁরা আজ অপাংক্তেয়। এই বিস্মৃতি-ব্যামোই কি মমতাকে খাদের কিণারায় এনে দাঁড় করাল?
প্রয়োজনে প্রিয়জন নীতি, রাজনীতি, নির্দিষ্ট ভাবে বললে, সতত ভোট রাজনীতির প্রয়োজনে পা ফেলে চলার নীতি কি মমতার রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে এমন অভূতপূর্ব প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করাল? এসব প্রশ্ন নিয়ে হয়ত আলোচনা হবে পরে। আপাতত, গদ্দার আর বেইমানের অসংখ্য প্রতিশব্দ খুঁজতে হবে মমতাকে। প্রশান্ত কিশোর তো বাংলা জানেন না, তিনি কি এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করতে পারবেন?
প্রশ্ন তুলেছেন বিদায়ী তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।