রাজ্য সরকারের তৎপরতায় যেখানে ডেঙ্গু অনেকাটাই নিয়ন্ত্রণ, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে মিললো ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার লার্ভা। শুধু দেশীয় নয়, বহু বিদেশি নাগরিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আসেন এ লাইব্রেরিতে।

স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা করপোরেশন। এরই মধ্যে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে নোটিশও দিয়েছে করপোরেশন। সময় দেওয়া হয়েছে সাতদিন। ওই সময়ের মধ্যে লাইব্রেরি ও লাগোয়া এলাকা পরিষ্কার না করলে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

করপোরেশনের র‌্যাপিড অ্যাকশন টিমকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। লাইব্রেরির ভেতর, বেসমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির জলে ডেঙ্গি মশার লার্ভার সন্ধান পায় করপোরেশনের কর্মীরা। লার্ভা পাওয়া যায় কর্মী আবাসন এবং লাইব্রেরি লাগোয়া জমিতেও। এরপরেই জমে থাকা জল ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দ্রুত সরানোর জন্য ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে করপোরেশন।

লাইব্রেরি কর্মীদের একাংশ জানায়, অগ্নিনির্বাপণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জল জমিয়ে রাখা হয়েছে, সেটাই আসলে মশার আতুর ঘর হয়ে ওঠেছে। তাদের আরও অভিযোগ, প্রতি বছরই গ্রন্থাগারের কর্মীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। মশা নিধনের ওষুধ রয়েছে। কিন্তু দেওয়ার লোক নেই। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে কোনো সহযোগিতা করে না বলে অভিযোগ করেন কর্মীরা।

ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ন্যাশনাল লাইব্রেরির কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এ অবস্থা। সাতদিনের মধ্যে এলাকা পরিষ্কার না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.