চতুর্থ দফার ভোটে যথারীতি পশ্চিমবঙ্গে শাসক তৃণমূলের গুন্ডামি ভোট লুন্ঠন অব্যাহত এবং এমনকি আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও এর থেকে ছাড় পাননি তার গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং বহু বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় এবং বিজেপির পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো ও মারা হয় । এসবের কথা আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন অভিনেত্রী মুনমুন সেন কে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি প্রথমে উত্তর দেন যে তিনি কিছুই জানেন না কারণ তার বেডটি দেরী তে আসায় তিনি দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছেন। এই উত্তর তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কে প্রকাশ করে।
পরে TV9 এর টেলিভিশনের এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের সময় সাংবাদিক অজিত অন্জুম মুনমুন সেন কে ভোটের দিনে তৃণমূলী সন্ত্রাস তথা গুন্ডামির কথা জিজ্ঞাসা করলে মুনমুন সেন অত্যন্ত অভব্যভাবে তাকে মানহানির মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং মাইক খুলে ফেলে সাক্ষাতকার মাঋখানেই বন্ধ করে দেন। এর কারণ তাকে এক পার্শ্ববর্তী সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলে অত্যন্ত অসভ্য ভাষায় তাকে বলেন যে তিনি যেন বিজেপির পশ্চাৎলেহন করেন। একথা মুনমুন সেনের মুখ থেকে অভব্য লাগলেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন কি ঔদ্ধত্য ও অশোভনীয় আচরণ সত্ত্বেও তৃণমূল দল করা যায় শুধুমাত্র পদলেহন দ্বারা । যদিও তিনি প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি এবং অত্যন্ত শক্ত প্রশ্ন হওয়ায় তিনি তার মেজাজ অল্পেই হারিয়ে ফেলেন।
যদিও চতুর্থদফা ভোটে আসানসোলে প্রচন্ড পরিমান হিংসা ও ছাপ্পা ভোটের ঘটনা সকাল থেকেই চোখে পরে এবং বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে দেখা যায় বুথে বুথে ঘুরতে ছাপ্পা ভোট ও হিংসা প্রতিরোধ করার জন্য কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মুনমুন সেন ঐসব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। এর আগেও এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি ভুলে যান তিনি কি বলছিলেন এবং তার বক্তৃতার মাঝেই জনতা এমনকি তার নিজের কন্যারাও তার বক্তৃতা শুনতে কোনো প্রকার আগ্রহ না প্রকাশ করলে তিনি তার ঔদ্ধত্য ও বিরক্তি সবার সামনে উগড়ে দেন।