আজ হাইভোল্টেজ রবিবার। একদিকে ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে মিছিল ও জনসভা করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রথমে অভিষেকের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু, পরে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীও। ফলে রবিবার ভোটের বাজার জমে উঠল। দাঁতনের কালীচণ্ডী পেট্রোল পাম্প থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত বিশাল রোড-শো করলেন শুভেন্দু। রাস্তায় ছিল জনসমুদ্র, পথের দুধারেও অসংখ্য মানুষ ছিলেন অপেক্ষায়। পায়ে হেঁটেই পুরো সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা র্যালি করলেন শুভেন্দু। দাঁতনের সভাস্থলেও ছিল বিপুল জনসমাগম। ভিড় করেছেন বহু সাধারণ মানুষ। এদিন জনসভার শুরুতেই নাটকীয় ভঙ্গিতে শুভেন্দু বলেন, এতো সবে ট্রেলার, সিনেমা এখনও বাকি।
পরে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন তৃণমূল সাংসদরা বলছেন মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতকের জন্ম হয়। আমি বলছি মেদিনীপুরে বর্ণ পরিচয়ের জন্ম হয়। ক্ষুদিরামের জন্ম হয়, মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম হয়। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, পশ্চিমবঙ্গে সিআরপিএফ দিয়ে ভোট হবে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, এ লড়াই জেলার লড়াই, মন্ত্রীসভা দক্ষিণ কলকাতার কুক্ষিগত। তাঁর কটাক্ষ, আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? এদিন ডায়মন্ড হারবারে সভা থেকে অভিষেকের আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন শুভেন্দু। অভিষেকের নাম না নিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, ১১ বছর পর ও তৃণমূল করতে এসেছে।
আবার ডায়মন্ড হারবারে সভা করে বলছে, নাড্ডাজির সভায় নাকি কম লোক এসেছে। বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। ওটা কর্মীসভা ছিল, তাই লোক কম। আমাকে ডাকুন দেখিয়ে দেব লোক কাকে বলে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ১৬০০ বুথের মধ্যে মাত্র ৩০০ বুথে জিতেই ৩ লাখ ব্যবধান হয়েছে? পঞ্চায়েতে ডায়মন্ড হারবারে পঞ্চায়েত ভোটে কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। সব অফিসের বাইরেই জিহাদিদের বসিয়ে রেখেছিল। নাম না করে এদিন শুভেন্দু তৃণমূল নেত্রীকেও একহাত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। এখানে দেড় জনের সরকার চলছে। শুভেন্দুর হুঙ্কার, পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটি বিজেপির দুর্জয় ঘাঁটি, কলকাতা ও দিল্লিতে একই সরকার থাকবে।