স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রের দেহ

পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বিশ্বজিৎ পাত্র। আজ সকালে খেজুরির অমৃত ভারতী বিদ্যাভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল ওই ছাত্রের দেহ। এই ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। খুন করে ওই ছাত্রকে স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ওই ছাত্রের বাবা শঙ্কর পাত্র দাবি করেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতা লাল্টু পাত্রর কাছ থেকে দু লক্ষ ৪০ হাজার  টাকা ধার করেছিলেন তিনি। সময়ে টাকা ফেরত দিতে না পারায় ওই ব্যক্তি তাকে হুমকি দিচ্ছিল। তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। বাগদা চাষের জন্যই ওই টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু চাষ মার খাওয়ায় সময়ে টাকা শোধ করতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার টিউশন নিতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বিশ্বজিৎ। ছেলের খোঁজ না পেয়ে খেজুরি তালপাটি কোস্টাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শঙ্করবাবু। জানা গেছে, আজ সকালে স্কুল খোলার পরেই তীব্র দুর্গন্ধ পায় স্কুলে আসা ছাত্রছাত্রীরা। গন্ধের উৎস খুঁজতে খুঁজতে সেপটিক ট্যাঙ্কে তার দেহ মেলে।

ছাত্রের দেহ উদ্ধারের পরেই শুরু হয় স্কুলের সামনে বিক্ষোভ। এলাকার বিডিও ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।

মৃত ছাত্রের বাবা  তৃণমূল নেতা লাল্টু পাত্র সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত লাল্টু পাত্রকে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম মণ্ডল বলেন, “এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সঙ্গেও তৃণমূলের নাম জড়াতে চাইছে বিজেপি। এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।”

জেলার অ্যাডিশনাল এসপি রাজনারায়ণ মুখার্জি জানান, মৃত ছাত্রের বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.