রবিবার সকালে খালের জল থেকে উদ্ধার হয়েছে হুগলির গোঘাটের বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষের দেহ। দুপুরে সেখানে গিয়ে প্রশাসনকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। বললেন, পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে খুনিদের না ধরতে পারলে আরামবাগ অচল করে দেওয়া হবে।
কাশীনাথ ঘোষের দেহ উদ্ধারের পরেই স্থানীয় বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কাশীনাথদের তৃণমূল যোগ দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই তাঁর এই পরিণাম হলো। দুপুরে সেখানে গিয়ে একই দাবি করেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, “এটা নৈরাজ্যের প্রশাসন চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে আমাদের ৮২ জন কার্যকর্তা খুন হলেন। অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমি শুনেছি, কাশীনাথকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। যোগ দেননি। তাই খুন করা হলো। ওঁর ফোনে সব কল রেকর্ডস আছে।”
তারপরেই সায়ন্তন বলেন, “আরামবাগের অবস্থা সবথেকে খারাপ। অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে কাশীনাথ ঘোষের খুনিদের ধরতে হবে। নইলে তারপরে আমরা আরামবাগ অচল করে দেব। বনধ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে সব বন্ধ হয়ে যাবে।”
এ দিন গোঘাটে বুদ্ধিজীবীদেরও নিজের নিশানা করেন বিজেপির এই অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “যাঁরা জয় শ্রীরাম নিয়ে চিঠি দিচ্ছেন, তাঁরা এখন কোথায়। কাশীনাথের মতো এত মানুষের খুনের কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখুন। তাঁরা কি এসব দেখতে পাচ্ছেন না, নাকি নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন।”