রাজ্যের পুলিশ এবার অনশন তুলে নিতে কার্যত থ্রেট দিল এসএসসি-র অনশনকারীদের।
অভিযোগ উঠল অনশন মঞ্চ থেকেই। ছাত্র যুব অনশন মঞ্চের পক্ষে জনৈক চাকরিপ্রার্থী প্রতাপ রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আজ দুপুরে পুলিশ এসে হুমকি দিয়ে বলে অনশন তুলে নিতে। প্রতাপ জানান, এদিন অনশন স্থলে আসে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসার। তারা অনশন মঞ্চের প্রতিনিধি ইনসান আলিকে আলাদা করে ডেকে ধমকের সুরে বলেন, দ্রুত অনশন তুলে নিতে হবে, নইলে পুলিশ ফোর্স এসে অনশন তুলে দেবে। আরও বলা হয়, এবার মুখে বলা হল, ভবিষ্যতে জোর করে অনশন মঞ্চ তুলে দিতে বাধ্য হবে তারা। এমনকী গ্রেফতার করা হবে চাকরিপ্রার্থী ছাত্রদের। কিন্তু কেন?
সাংবাদিকদের প্রশ্নে অনশন মঞ্চের তরুণ প্রতিনিধি জানান, পুলিশ একটি জেরক্স কাগজ নিয়ে এসেছিল। পুলিশের মতে সেটি সেনার অভিযোগ পত্র। এখানে অনশন করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, এই মর্মে নাকি সেনা অভিযোগ জানিয়েছে।
যদিও অনশন মঞ্চের তরুণ-তরুণীরা জানান, আমরা এখান থেকে যাব না, যতক্ষণ আমাদের দাবি মিটছে, যতক্ষণ না আমরা চাকরি পাচ্ছি। পাশাপাশি তাঁরা মনে করিয়ে দেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নং ধারা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীর মৌলিক অধিকার।
অতএব এসএসসি-র অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীরা আগের মতোই অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন ফের। সেই সঙ্গে তাঁরা বলেন, অনেকে বলছেন আমরা নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ দিনের অনশনের রেকর্ড ভাঙার জন্য অনশন করছি। না, কারো রেকর্ড ভাঙার জন্য আমরা অনশন করছি না। আমরা আমাদের হকের চাকরিটা চাই। তার জন্য অনশন করছি। যতক্ষণ সেই দাবি পূরণ হবে ততক্ষণ অনশন চলবে।
এদিকে অনশনকারীদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের আজকের ব্যবহারকে ভালো চোখে নেয়নি রাজ্যের মানুষ। যদিও এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা যে মমতার সরকারের মুখ পোড়াচ্ছে তাও সত্যি। এইসঙ্গে সামনে লোকসভা ভোট। এমত অবস্থায় একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী এই ঝামেলা দ্রুত মেটাতে চাইবেন, তাও যেমন সত্যি, তেমনি এদের সঙ্গে তেমন কিছু করলে উলটে বিরোধীদের হাত শক্ত করা হবে বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।