অবশেষে শান্তনু ঠাকুরকেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। এখন শুধু সরকারিভাবে ঘোষণার অপেক্ষা। ফলে ঠাকুরবাড়িতে ফের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠলো।
এতদিন পর্যন্ত শান্তনু ঠাকুর বলে এসেছেন, তিনি সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত হবেন না। এমনকি ভোটেও দাঁড়াবেন না। তিনি মতুয়াদের জন্য কাজ করতে চান— অরাজনৈতিকভাবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এখন তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে তিনি বুধবার দিল্লি যান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং শনিবার সকালে ফিরে আসেন। আর তারপরই তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
আজ মতুয়া মহাসঙ্ঘের এক মুখপাত্র অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “আমরা ঠিক করেছি দেশের স্বার্থে এবং আমাদের সমস্যার কথা পার্লামেন্টে তোলার জন্য শান্তনু ঠাকুর উপযুক্ত ব্যক্তি। তাই তাঁকে আমরা মতুয়াদের প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই আমরা দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ভোটে দাঁড়ানো আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। মতুয়াদের তথা গোঁসাই, পাগল এবং সাধারন ভক্তদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত বদল করেছি। উদ্বাস্তু আন্দোলন ও তাদের সমস্যা সর্বোপরি মতুয়াদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেষ পর্যন্ত ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের দ্বিধা বিভক্ত মতুয়ারা। আজ ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানোর পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপক্ষ বলেন, আমরা চাই না শান্তনু ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়ে সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকুন। তিনি যেমন এতদিন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই ভাবেই থেকে তাদের জন্য ভাবনা চিন্তা করুন। এর বিরোধিতা করে সাংবাদিকদের সামনে অন্যদল বলেন, শান্তনু ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়ে জিতলে তিনি পার্লামেন্টে আমাদের কথা তুলতে পারবেন। এতে মতুয়াদের সুবিধা হবে। শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে ফের ঠাকুর বাড়ির পারিবারিক কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।
গতবারের লোকসভা উপনির্বাচন এর মত এবারেও ঠাকুরবাড়ির বড় বৌমা তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরের বিরুদ্ধে ভোট ময়দানে নামছেন ঠাকুরবাড়ি আর এক সদস্য বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁ কেন্দ্রের লড়াই জমে উঠলো।