বহুদিন ধরেই শারিরিক নির্যাতন চালাত শ্বশুর। আর বারবার অভিযোগ করা স্বত্বেও মানতে রাজি হয়নি স্বামী এবং বাকি পরিবার। দুমাস ধরে শ্বশুরের এই পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ আনছিল গৃহবধু। তাঁর জেরেই পরিবারে অশান্তি। সেই অশান্তি মেটাতেই সোমবার ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। সেই সভার হোতা ছিলেন তৃণমূল নেতা সনৎ কর। আর তিনিই অত্যাচারিত গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারার নিদান দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া থানার কোন্নগর কানাইপুর রায়পাড়ায়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কোন্নগর পুরসভার কর্মী সনৎ কর সোমবার ওই দম্পতিকে না জানিয়েই পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে একটি সালিশি সভার আয়োজন করেন। অত্যাচারিত গৃহবধুর স্বামী জানান, তাঁরা এই সালিশি সভা সমন্ধে কিছুই জানতেন না। কাজ থেকে তাঁকে সভায় ডেকে পাঠায় তৃণমূল নেতা সনৎ কর। সভা চলাকালীন দুপক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় তুমুল বচসা। তখন তৃণমূল নেতা আর তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা গৃহবধুর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেন।
শুধু নির্যাতিতার স্বামীকে মেরেই চুপ ছিলেন না তৃণমূল নেতা। এরপর নির্যাতিতাকে সবার সামনে বিবস্ত্র করে মারেন বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। সোমবার রাতে শারিরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান ওই দম্পত্তি।
এরপর কানাইপুর বিট তৃণমূল নেতা সনৎ করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে, এই ব্যাপারে ওনার থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন চিন্তার বিষয় হল, আইন থাকতে তৃণমূল নেতা এরকম তালিবানি শাসন আপন করে নিলো কেন? এর আগেও এরকমই এক চিত্র ফুটে উঠেছিল জঙ্গলমহল থেকে। সেখানে তৃণমূলে ভোট না দেওয়ার জন্য এক গৃহবধূকে কান ধড়িয়ে উঠবস করিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। যেই দলের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেই দলের নেতারা এরকম মহিলা বিরোধী কাজ করে কি করে?