বিজেপি যোগের জল্পনা, শোভনের প্রশংসা করে দিল্লি উড়ে গেলেন সব্যসাচী দত্ত

বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগের জল্পনা দীর্ঘদিনের৷ বুধবার বিজেপির সদর দফতর দিল্লিতে যখন শোভন-বৈশাখী তখন শোনা গিয়েছিল দিল্লিতে সব্যসাচী দত্তও গিয়েছে৷ যদিও পরে জানা যায় তিনি কলকাতায়ই রয়েছেন৷ এবার কিন্তু সব্যসাচী দত্ত সত্যিই দিল্লি উড়ে গেলেন৷ শুক্রবার সকাল ৬টা ৫৫মিনিটের ফ্লাইটে কলকাতা ছাড়লেন৷

বৃহস্পতিবার ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে নিজের ওয়ার্ড অফিসে জাতীয় পতাকা তুলেন সব্যসাচী দত্ত৷ সেখানে তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ তিনি জানান, শোভনদা’র পুরানো অভিজ্ঞতা আছে রয়েছে৷ তার সঙ্গে নতুন দলে যোগ দেওয়ার উদ্যম। দুইয়ে মিলে ভালোই হবে৷ সাংগঠনিকভাবে শোভনদা দীর্ঘদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমুল জেলা সভাপতি ছিলেন৷

দিল্লি যাওয়া নিয়ে সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান,ব্যক্তিগত কাজেই দিল্লি যাচ্ছি৷ কিন্তু তার এই দিল্লি যাত্রা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিজেপি যোগের জল্পনা৷ তাহলে কি কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের পরে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? বিজেপি নেতা মুকুল রায় তার বাড়িতে এসে লুচি আলুরদম খাওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে যোগের জল্পনা চলছে৷ এমনকি গত মাসে হোলির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপিতে যোগের জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জয় ভারত, ভারত মাতা কি জয়। আমি মেয়র না থাকি, আমি এমএলএ না থাকি, আপনাদের সঙ্গে আছি। মেয়র বা এমএলএ হয়ে জন্মাইনি, সেভাবে মরবও না।’তা স্বত্বেও বিজেপি যোগের জল্পনা বার বার উড়িয়ে দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত৷

এর আগে একাধিকবার সব্যসাচীর তৃণমূলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ তবে বারবারই সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র৷ কিছুদিন আগে দলের এক অনুষ্ঠানে সব্যসাচীকে ডেকে দিদি বলেছিলেন, তুই তৃণমূলে আছিস কেন? বিজেপি-তে চলে যা। তার পর বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে তৃণমূল। বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তৃণমূলের কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেননি সব্যসাচী। তিনি এখনও তৃণমূলের রাজারহাটের বিধায়ক।

অনেকদিন ধরেই বিজেপিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সব্যসাচী৷ মুকুল রায়কে বাড়িতে ডেকে লুচি-আলুরদম খাওয়ানো দিয়ে জল্পনার সূত্রপাত হয়৷ পরে হোলির অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপিতে যোগের জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জয় ভারত, ভারত মাতা কি জয়। আমি মেয়র না থাকি, আমি এমএলএ না থাকি, আপনাদের সঙ্গে আছি। মেয়র বা এমএলএ হয়ে জন্মাইনি, সেভাবে মরবও না।’তারপরও লাগাতার দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.