রোজভ্যালিকাণ্ডে রাজ্যের সাত জায়গায় তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত ১ কোটির সম্পত্তি।

রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় রাজ্যের সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। ১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সাতটি দামি গাড়ি। ইডি সূত্রে খবর, রোজভ্যালির বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল গাড়িগুলি।

রোজভ্যালিকাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও। শুভ্রাকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআইয়ের প্রথম লক্ষ্য, সেই নামটি খুঁজে বের করা যাঁর ‘আশ্বাসের হাত’ মাথায় থাকার জন্য স্বামীকে বাদ দিয়েও দিনের পর দিন সোনার গয়নার ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন শুভ্রা। তাঁর অদ্রিজা জুয়েলারি প্রথমে রোজভ্যালির ছাতার তলায় থাকলেও পরে তা স্ত্রীর নামে করে দেন গৌতম। রোজভ্যালি কর্তা গ্রেফতারের পরও রমরমিয়ে সে দোকান চলেছে। কার সহযোগিতায় এই ব্যবসা শুভ্রা এগিয়ে নিয়ে যান তা জানতে চায় তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতারের পর থেকেই রোজভ্যালি গোষ্ঠীর যত সম্পত্তি রয়েছে তার তালিকা তৈরি শুরু করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর মধ্যে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর বাড়ি, অফিস এবং তাঁর গচ্ছিত টাকার হিসাবও রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। কিছুদিন আগে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

কিছুদিন আগে রোজভ্যালি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। আগরতলা আদালতে চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ৪৬৪ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় দাখিল করা এই চার্জশিটে নাম রয়েছে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর।

গৌতম কুণ্ডু ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ডিরেক্টর অশোক সাহা, শিবময় দত্ত, রামলাল গোস্বামীর। এ ছাড়া চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে রোজভ্যালি সংস্থার সম্পত্তি রোজভ্যালি হোটেলস অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেডের নামে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই।

এর আগে ২০১৮ সালেও এই মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ৪৬৪ কোটি টাকার এই প্রতারণার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। রোজভ্যালি সংস্থা তাদের পসার কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়, পাশাপাশি ওড়িশা ও ত্রিপুরাতেও বিস্তার করেছিল। সেই সূত্রেই প্রথমে ত্রিপুরা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরবর্তী কালে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর এ রাজ্যের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও যান তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ ও সূত্র উঠে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.