এক দলিত হিন্দু নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে দীঘা নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল একই পাড়ার পঞ্চাশোর্ধ বাসিন্দা কুতুব মোল্লার বিরুদ্ধে। বাড়ি ফিরে অপমানে ওই নাবালিকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও পলাতক অভিযুক্ত কুতুব মোল্লা। ঘটনা কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত কুলবেড়িয়া সরদার পাড়া এলাকার।
জানা গিয়েছে, সরদার পাড়ার বাসিন্দা বিনন্দ সরদারের নাবালিকা মেয়েকে(বয়স- ১৫ বছর )গত ২২শে নভেম্বর ফুঁসলিয়ে দীঘাতে নিয়ে যায় পাশের পাড়ার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ কুতুব মোল্লা। বাড়ির লোক মেয়েকে খোঁজখবর করে। তখন কুতুব ওই নাবালিকার পিতাকে জানায় যে তাদের মেয়ে দীঘায় তাঁর সঙ্গে আছে। পরেরদিন রাত্রি নয়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসে নাবালিকা। নাবালিকার পিতা বিনন্দ সরদার জানিয়েছেন যে, বাড়ি ফেরার পরে তাঁর মেয়ে একদম বদলে গিয়েছিল। সে একদম চুপচাপ ছিল এবং কারওর সঙ্গে যেন কথা বলতে চাইছিল না। পরেরদিন সকালে উঠে দেখা যায় যে ওই নাবালিকা তাঁর ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিনন্দ। থানা থেকে পুলিশ এসে দেখা করে গিয়েছেন এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে অভিযুক্ত কুতুব মোল্লা পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।