‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রের উদ্দেশ্য হিন্দু ইতিহাসের বিকৃতি

‘রাম কে নাম’তথ্যচিত্রটির নির্মাতা আনন্দ পটবর্ধন। তথ্যচিত্রটি ১৯৯২ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। এটির বিষয়বস্তু অযোধ্যার রাম জন্মভূমি এবং রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গ এবং মুসলমান তোষণ। ঐতিহাসিক ভাবে তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তুর ইতিহাস শুরু হয় ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের বাবরি ধাঁচা নির্মাণের সময় থেকে। তথ্যচিত্রটি মূলত হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় নির্মিত। কোনো বিশেষ কাহিনি নেই, সবটাই ব্যক্তি বিশেষের সাক্ষাৎকার। এবং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ভাষণের বিষয়বস্তুকে আধার করে রামজন্মভূমি ও মন্দির নির্মাণ একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হিংসাত্মক আন্দোলন এবং এই আন্দোলন হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ নির্মাণ করেছে এমন একটি বার্তা দিয়ে তথ্যচিত্রে মূলত রাম জন্মভূমি পুনরুত্থান আন্দোলনের বিপক্ষে তীব্র বিদ্বেষ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রটিতে পটবর্ধন স্বধর্ম স্বদেশ বিদ্বেষী বামপন্থী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুসলমান তোষণের জন্য সুপরিকল্পিত ভাবে পরিবেশন করেন এবং তা তৎকালীন কংগ্রেস সরকার সেরা ডকুমেন্টারি’ হিসাবে পুরস্কার দেয়। খুব কৌশল করে ভারতীয় হিন্দুরামভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগের উপর চরম আঘাত হানে এই তথ্যচিত্র। এবং তৎকালীন সরকার কৌশল করে রাম মন্দির আন্দোলনের বিপক্ষে জনমত তৈরিতে এই ধরনের তথ্যচিত্র নির্মাণে আর্থিক জোগান দেয় বলে অনেকে মনে করেন। তথ্যচিত্রের বিষয়ে লালুপ্রসাদ যাদবকে বলতে শোনা যায়, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রা এবং রামভক্তদের করসেবা গণআন্দোলনকে কোনো রকম ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। কারণ লালুর জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) হিন্দু সংস্কৃতি-ধর্মের পুনরুত্থান এবং রামমন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লালু বর্তমানে জেল খাটছেন।
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা শ্ৰীলালকৃষ্ণ আদবানীর রথযাত্রা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং পূর্ণ গণতান্ত্রিক যাত্রা। একটাই দাবি ছিল রাম মন্দির রামের জন্মস্থানেই হবে। রামের জন্মস্থান ও সময় নির্ণয়ে কোর্টের মতামত দেওয়ার এক্তিয়ার নেই। কেবলমাত্র জমি বিবাদের রায় ন্যায়ালয়ে অপেক্ষমান। বিদেশি মুঘল শাসক রামমন্দির ভেঙ্গে বাবরি ধাঁচা তৈরি করলে সেই মন্দির পুনরুদ্ধারে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হলো প্রত্যেক ভারতীয় হিন্দুর আত্ম-অহংকার এবং স্বাভিমানের অধিকার।রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার এবং মন্দির পুনর্নির্মাণের মধ্যে ভারতীয়দের আস্থা ও বিশ্বাস আছে গভীর ভাবে। তাতে নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপি, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তথ্যচিত্রে দেখানো হয় সেই সময় পাটনায় মুসলমান তোষণকারী সিপিআই সমর্থকরা বার বার বলেন রাম মন্দিরের আন্দোলন হিন্দু উগ্রবাদীদের আন্দোলন। তাদের মতে মন্দির নির্মাণ হলে মুসলমান সম্প্রদায় অসন্তুষ্ট হবে তাই মন্দির অযোধ্যার রাম জন্মস্থলে নয় অন্যত্র হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু প্রশ্ন করি ধর্মনিরপেক্ষ বাপন্থীদের, রামায়ণ ও রামকে যারা উৎখাত করে নিজেদের ধর্মীয় নিশান প্রতিষ্ঠা করল তাদের যারা এই প্রশ্ন করেন না তারা কি আদৌ ধর্মনিরপেক্ষ ? সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুর দেশ মুসলমান শাসকের কলঙ্ক বহন করবে না। এছাড়াও হিন্দু সমাজের মধ্যে বর্ণবৈষম্য, জাতি বৈষম্য, দলিত ভাবনা দিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হিন্দু জাগরণের মঞ্চকে বিভ্রান্ত করে হিন্দু সমাজকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য গরম গরম বক্তৃতার অংশ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়। এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন করলে রাম জন্মভূমি জমি বিবাদের শুনানিকে অবশ্যই প্রভাবিত করবে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে এটাও উল্লেখ করি যে তথ্যচিত্রে ক্ষত্রিয় অােেরা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি নিজেকে জাতপাতের ঊর্ধ্বে রেখে সাধারণ হিন্দু বলে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, বাবরি ধাঁচা ভারতের কলঙ্ক, এই কলঙ্ককে সমাজবাদী নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব নিজের মাথায় রাখুন, কোনও ভারতীয় মাথায় বহন করবে না, এই কলঙ্ককে মুছে দেবে। তথ্যচিত্রে উঠে আসে গান্ধীজী ও নাথুরাম গডসের কথা। কংগ্রেস সরকার সত্তর কোটি হিন্দুর কথা ভুলে দশ কোটি মুসলমানের জন্য তোষণের রাজনীতি করেছেন যা নিন্দনীয়।
স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ হলো ধর্মনিরপেক্ষ দেশ আর পাকিস্তান-বাংলাদেশ হলো মুসলমান দেশ। দেশভাগের সময় হিন্দুদের আশ্রয় একটাই ছিল তা হলো ভারতবর্ষ আর মুসলমানদের ভারত এবং পাকিস্তান দুটো দেশ ছিল। ভারতীয় মুসলমানদের অধিকাংশ দুই তিন প্রজন্ম আগে হিন্দু ছিলেন। সমস্ত মুসলমান আরবদেশ থেকে পায়ে হেঁটে আসেননি। ভারতবর্ষে। বহিরাগত মুসলমান শাসক পরিকল্পনা করে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ বা বিবাহ করে ‘দারুল হারব’কে ‘দারুল ইসলাম’ করে। মুঘল মসলমান শাসকদের ভারত আক্রমণ ছিল ধর্মীয় লড়াই। একদিনে সবটা হয়নি ধীরে ধীরে হয়েছে। এই রাম মন্দিরের লড়াই ধর্মীয় পরাধীনতার বিরুদ্ধে এবং আত্মবিস্মৃত হিন্দু জাতির সংস্কৃতির লড়াই। জোর করে অত্যাচার করে ভয় দেখিয়ে খুন করে ধর্ষণ করে বিদেশি মুসলমানের বীজ এই দেশীয় পিছিয়ে পড়া সমাজের হিন্দুদের মধ্যে বপন করে ধর্মান্তরিত করে মুসলমান করেছে। ঐতিহাসিক ভাবে এই কথা সত্য। এই আন্দোলন ধর্মীয় ভাবে মুসলমান ধর্মের আগ্রাসী ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে লড়াই তাই তো আন্দোলনের ভাষা “ইয়ে তো পহলাঝুঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকী হ্যায়”। এক এক করে সমস্ত হিন্দু ধর্মস্থল মন্দির-স্থাপত্য-বিহারকে মুসলমান ধর্মীয় সন্ত্রাস ও সংস্কৃতির পরাধীনতার কলঙ্ক থেকে মুক্তির লড়াই।
উল্লেখ্য বাবর নির্মিত বাবরি ধাঁচার নীচে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ছিল এই কথা এলাহাবাদ হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে। সেই সঙ্গে বলে রাখি ২০১৯ আগস্টের ৬ তারিখ থেকে শুনানিতে রামজন্মভূমি পুনরুত্থান সমিতির পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী পি এন মিশ্র শাহজাহান ফরমান। শরিয়তি আইনের পক্ষে বলেন মসজিদ মসজিদের সম্মান তখনই পাবে যখন তা আল্লাহের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত দানকৃত ভূমির উপর নির্মিত হবে। কিন্তু বাবরি ধাঁচার নীচে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে এটাই স্পষ্ট হয় উক্ত ভূমি আল্লাহের উদ্দেশ্যে দান করা নয়। মসজিদ তকমায় শরিয়তি বিধানে বাবরি ধাঁচা মান্যতা পায় না— এইরকম যুক্তিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রশ্ন হলো রামজন্মভূমির মালিকাধীন স্বত্ব কার ? রামজন্মভূমি ও মন্দির নিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বললেও বিচারের বিষয় জমিবিবাদ এবং জমির মালিকানাস্বত্ব কার ? জন্মভূমি-মন্দির নিয়ে কোনো সংশয় নেই মালিকানা স্বত্ব নিয়ে প্রশ্ন। বিবাদমান বিষয় ২.৭৭ একর জমির মালিক কে ? কিন্তু তথ্যচিত্রের বিষয়, মন্দির আন্দোলন প্রাসঙ্গিক কি না? হ্যা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। মুঘল সম্রাট বাবর সমরকন্দ থেকে এসে ভারতবর্ষ দখল করে এবং হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির ধারক বাহক রাম ভক্তিবাদকৃষ্টির মন্দির ভেঙ্গে ধাঁচা নির্মাণ। করে শরিয়তি ইসলাম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পশ্চিমদেশ থেকে আগত ধর্মীয় জেহাদের শিকার হয় ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষের সভ্যতা সংস্কৃতির স্থাপত্য ভাস্কর্যকে ধ্বংস করে সেই ভাঙা ইমারত দিয়ে মসজিদ নির্মাণের কথা মুসলমান ঐতিহাসকরাই লিখে গেছেন। বাবরের মসজিদ রামজন্মভূমি এবং মন্দিরের উপর অবৈধ নির্মাণ। হিন্দু সংস্কৃতির উপর বর্বর আক্রমণ।
গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক ভাবে বাক্ স্বাধীনতার অধিকার অবশ্যই থাকবে কিন্তু কোন সময়ে কী মত প্রকাশ করা যাবে তার একটা নির্দেশিকা থাকা প্রয়োজন। ১৯ আগস্ট হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে আইসা (AISA) সমর্থিত অতিবাম ছাত্র সংগঠন এই ‘রাম কা নাম প্রদর্শনের ব্যাবস্থা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি এবং পরে পুলিশ এসে প্রদর্শন বন্ধ করে ৪ জন আইসা (AISA) সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। অনুরূপভাবে বিতর্কিত তথ্যচিত্রটিকে প্রদর্শন করতে চাইলে পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের অনুপ্রেরণায় ফিল্ম স্টাডি বিভাগের সহযোগিতায় আইসা (AISA) ও অতিবাম (USDF, SFI, REDICAL) সমর্থিত কিছু। ছাত্র বাইরের আর্থিক সহযোগে বিভাগের পাঠকক্ষে নয় প্রকাশ্য ভাবে সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের সামনে জনসমক্ষে মুক্ত রাস্তার উপর ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টকারী ‘রাম কা নাম’ প্রদর্শন। করে এবং হিন্দু আস্থার পরিপন্থী সূচক ধ্বনি দিয়ে রামের জন্মস্থান এবং মন্দিরের বিরুদ্ধে প্রচার চলায়। হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় আস্থাতে গভীর আঘাত করা এবং মুসলমান সমাজকে উৎসাহিত করাই একমাত্র উদ্দেশ্য এই তথ্যচিত্রের। এই প্রদর্শন অবশ্যই রাম জন্মভূমি ও রাম মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে সুপ্রিমকোর্টের রায়কে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে উদ্দেশ্য মূলক রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য ‘রাম কা নাম’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি বিশেষ শুনানিকে প্রভাবিত করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপাচার্য, নিবন্ধক, ফিল্ম স্টাডি বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য অধ্যাপকেরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এই প্রদর্শনের বিরদ্ধে যাদবপুরের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, কর্মচারী পরিষদের একাংশ তীব্র বিরোধিতা করে এবং অবস্থান বিক্ষোভ প্রকাশ করে। কর্তৃপক্ষ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি নিয়ে অস্বীকার করলেও পরে বিপক্ষ ছাত্রদের অবস্থানে অনুমতির চিঠির প্রতিলিপি দিতে বাধ্য হয়। আইনের সঠিক অনুশাসন ও মান্যতার বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কতটা মান্যতা দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আমি মনে করি বিশেষ ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে মতামত চাপিয়ে দিতে চাইছে এবং এটা রাজনৈতিক ভাবে রাজ্য তৃণমূল সরকারের অঙ্গুলি নির্দেশ। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক স্বার্থে। রাজ্যসরকার ব্যবহার করছে যা উচিত নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি সুপ্রিমকোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের নামে বিচারাধীন বিষয়ে ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’কে অমান্য করছেন না? নাকি সুপ্রিমকোর্টের ঊর্ধ্বে স্বশাসিত এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়? অনেক প্রশ্ন। যদি বিচারাধীন বিষয়ে বিশেষ ধর্মের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ, দেবতার মন্দির, রামজন্মভূমি ও মন্দিরের বিপক্ষে ধর্মীয় আঘাতের অনুমতি ‘ফ্রিডম অব। এক্সপ্রেশেন’বলে সঠিক বলে মনে হয় তাহলে কী সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশের পর রায় রামমন্দিরের পক্ষে হলে জয়সূচক উল্লাস মেনে নেবে ? এবং বিপক্ষে হলে উপযুক্ত আন্দোলনের ‘ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন’ কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে মেনে নেবেন? নাকি ধর্মীয় সম্প্রীতির অজুহাতে কঠোর হাতে দমন করবেন বাকস্বাধীনতাকে? প্রশ্ন থেকেই যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দিয়ে এই ভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার প্রচেষ্টা এবং বিচারাধীন বিষয়ে জনমতকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা সমাজের পক্ষে খুব একটা সুখকর নয়।
সুমন চন্দ্র দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.