বিপর্যয় মোকাবিলায় এবার হেল্পলাইন চালু করল রেল ও বিসএনএল। হাওড়া, খড়্গপুর ও বালেশ্বরের এই হেল্পলাইন চালু করা হল। খড়্গপুর জংশনে জিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট রুমে রেল (৬৩৫৩৫) ও বিএসএনএল (০৩২২২২২১৬৯৬)। প্লাটফর্ম রেল (৬৩৯৫০) ও বিএসএনএল (০৩২২২২৫৫৭৫৮)। বালেশ্বরে রেল (৬৪৯০৮/৯) ও বিএসএনএল (০৬৭৮২২৬২৭৬), হাওড়ায় রেল (৪৫২৭১) ও বিএসএনএল (০৩৩২৬৪১২৯৭৫)।
এদিকে আলিপুর হাওয়া অফিস দুপুরে জানিয়ে দিয়েছে বর্তমানে দীঘা থেকে ৬১৫ কিলোমিটার, কলকাতা থকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে ওডিশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ফণী। যার জেরে গোপালপুর ও পুরীতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী কাল দুপুরে গোপালপুর ও চাঁদবালি দ্বীপে প্রবেশ করার সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার অবধি। পরে রাজ্যে এসে হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। এ রাজ্যে ঝড় আছড়ে পড়বে ৩ তারিখ রাতে অথবা ৪ তারিখ ভোরে।
প্রসঙ্গত, ফণীর প্রভাবে ঝড়ের পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিবঙ্গে। ভারী বৃষ্টি হবে ৩ তারিখ থেকে ৪ তারিখ সন্ধে পর্যন্ত। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলাতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও রাজ্যের আরও কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ,নদিয়ায়। ৩ তারিখে সব জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। ৪ তারিখে ভারী বৃষ্টির হবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই বর্ধমানে সব জায়গায় ভারী বৃষ্টি। ৪ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি শুরু হবে। আজ সন্ধ্যা থেকে উপকূলের জেলাতে হওয়া বইতে শুরু করবে। হওয়ার গতি বাড়বে কাল। প্রথমে তা হতে পারে ৬০-৭০ কিলোমিটার। পরে হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে। উপকূলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার । ৪ তারিখে এই গতি বাড়বে।