৭ মে রাহুল গান্ধী, ৮ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরের দিন ৯ মে পুরুলিয়ায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি।জাতীয় রাজনীতিতে জনপ্রিয় এই তিন ব্যক্তিত্বের সভার কারণে পুরুলিয়া স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে টানা তিন দিন বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দল নিজেদের মত করে প্রস্তুতি শুরু করলেও গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে পুলিশের। সামনের সপ্তাহের ওই তিন দিন হিমসিম খাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে পুলিশ মহলে। তিন ভিভিআইপির রাজনৈতিক সভা নির্বিঘ্নে পার হলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতারাও। যদিও তার কয়েক দিন পরই ১২ মে ভোট গ্রহণের দিন রয়েছে। সভায় লোক আনা, নিরাপদে বাড়ি ফেরানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক সংগঠকদের কাছে। রোদ গরমের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থকদের সভায় না আসার অনীহা ঘুম কেড়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জেলা কংগ্রেস সহ সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৭ মে ঝালদা-২ ব্লকের বামনিয়া ময়দানে দুপুরে সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলীয় প্রার্থী নেপাল মাহাতোর সমর্থনে একটি সভা করবেন।
অন্যদিকে, পরের দিনই সকাল ১০ টার সময় ওই এলাকাতেই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই হুড়ার লধুড়কা গ্রামে এবং দুপুর ৩ টে নাগাদ পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই কথা জানিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘পুরুলিয়া শহরে রোড শো হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে।’ গত বিধানসভা ভোটের আগে পুরুলিয়া শহরে রোড শো করে খারাপ ফল হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
৯ মে পুরুলিয়া শহর লাগোয়া সৈনিকস্কুল সংলগ্ন রায়বাঘিনী মাঠে নরেন্দ্র মোদি বেলা সাড়ে এগারটা নাগাদ মঞ্চে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মঞ্চে হাজির হবেন। ওই জনসভাকে ঘিরে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে জেলা বিজেপির।