অভিযোগের পাহাড় জমছে, ঠিকানা বদলাচ্ছে রাজ্যের জন অভিযোগ সেল

সরকারের কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের কী কী অভিযোগ আছে, তা জানতে আলাদা সেল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস দেড়েক হয়েছে সেই সেল তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বদল করেছে নবান্ন। এ বার ঠিকানাই বদলাতে চলেছে জন অভিযোগ সেল।

ডালহৌসির হেমন্ত বসু বিল্ডিং-এ তৈরি হয়েছিল জন অভিযোগ সেলের অফিস। কিন্তু এ বার তা উঠে যাচ্ছে আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে। উত্তীর্ণে ওই অফিস নতুন করে বানানোর জন্য শুক্রবার টেন্ডার ডাকল পূর্ত দফতর।

কিন্তু কী কারণে এই ঠিকানা বদল?

নবান্নের কর্তারা এ নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ না খুললেও, অনেকেই আড়ালে আবডালে বলছেন, যে ভাবে অভিযোগের পাহাড় জমছে, তাতে ওই ছোট অফিসে কাজ করা সম্ভব নয়। লোকও বাড়াতে হবে। আর ডালহৌসির অফিসের যা বহর, তাতে বাড়তি লোক বসানোর জায়গা নেই।

এই সেলের মাথায় যে একজন আইএএস অফিসার থাকবেন, তা শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে এই সেলের মাথায় বসানো হয় আইএএস বরুণ রায়কে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলে আনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আমলা ওঙ্কারনাথ মীনাকে। তাঁকেও সরিয়ে দেয় নবান্ন। কিন্তু ওঙ্কারনাথকে সরানো নিয়ে নানা কথা শোনা যায় নবান্নের বারান্দায়। অনেকে বলেন, ওই সেলে কী ধরনের অভিযোগ জমা পড়ছে  তা প্রশান্ত কিশোরের টিম জানতে চায়। কিন্তু ওঙ্কারনাথ নাকি তাতে আপত্তি জানান। সরকারের কাজে বাইরের সংস্থার নজরদারিতে তিনি নাকি বাধা দেন। অনেকে বলেন, সে কারণেই তাঁকে সরিয়ে পিবি সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জন অভিযোগ সেলের ঠিকানা বদল নিয়ে এখন অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি সরকারি ফাইলে পিকে-র টিমের উঁকিঝুঁকি মারার জন্যই আস্তানা বদল করার এই তোড়জোর? যদিও তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এই যে অভিযোগের পাহাড় জমছে, এটা ইতিবাচক। মানুষের রাগটা বেরিয়ে যাচ্ছে। আর সরকারও বুঝতে পারবে ক্ষোভটা কোথায়। সেই মতো পদক্ষেপ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.