টাকা দিয়ে পদ কেনা যায় না৷ আর সেই পদ যদি হয় প্রধানমন্ত্রীর তাহলে তো কথাই নেই৷ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের কাছ থেকে লুটের টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার কেনার অভিযোগ তুললেন নরেন্দ্র মোদী৷ আর তৃণমূলের দোসর হয়েছে কংগ্রেসও৷
গোটা দেশে যখন তৃতীয় দফার ভোট চলছে তখন রাজ্যে ভোট প্রচারে আসেন মোদী৷ এদিন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে জনসভা করেন৷ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান৷ জানান, টাকা ছড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন৷
স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে মোদী বলেন, ‘‘এবার রাজ্য থেকে তৃণমূল বেশি আসন পাবে না৷ তাও মমতা দিদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন৷ এই প্রধানমন্ত্রীর পদ যদি নিলামে তোলা হত তাহলে কংগ্রেস ও মমতা দিদি জনগণের লুটের টাকা দিয়ে সেই পদ কিনে নিত৷ ওই টাকা সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারি থেকে তোলা হয়েছে৷’’ আক্রমণের সুর চড়িয়ে মোদী বলেন, ‘‘দিদি প্রধানমন্ত্রী পদ টাকা দিয়ে কেনা যাবে না৷
ভোটে তৃণমূল হারতে চলেছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন দিদি৷ তাই কমিশনের উপর সব রাগ উগরে দিচ্ছেন৷ মোদী বলেন, ‘‘দিদি রোজ মোদীকে গালমন্দ করছে৷ আর নির্বাচন কমিশনের উপর রাগ দেখাচ্ছে৷ দিদি হতাশ হয়ে পড়েছেন৷ বুঝতে পেরেছেন ভোটে হার নিশ্চিত৷’’
আর একমাস পর কী হবে? আসানসোলের মঞ্চে দাড়িয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন জনতার উদ্দেশ্যে৷ হাত তুলে বলতে লাগলেন, ‘‘ফির এক বার … ৷’’ জনতাও চিঞকার করে উত্তর ফিরিয়ে দিল, ‘‘…মোদী সরকার৷’’ কয়েকবার স্লোগানগুলি চিৎকার করে বলার পর শান্ত হল জনতা৷ মঞ্চে তখন মৃদু হাসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ অরপরই বলতে শুরু করলেন ‘‘আজ ২৩ এপ্রিল৷ একমাস পর দেশে আবার মোদী সরকার আসবে৷ কিন্তু এখানে কী হবে? দিদির হাতের তাস শেষ হয়ে যাবে৷ সংসদে আরও শক্তিশালী হয়ে আসবে মোদী সরকার৷ আপনাদের এক একটা ভোট মোদীর খাতায় জমা হবে৷