এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। সে ভোট উত্তরবঙ্গে। তবু প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসে শিলিগুড়ির পাশাপাশি কলকাতাতেও সমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ব্রিগেডে মোদীর সমাবেশ ঠিক হয়েও বাতিল হয়। সে বার আয়োজনের সময় কম থাকাতেই থমকে যায় বিজেপি। কিন্তু ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে মাত্র ন’দিনের প্রস্তুতিতে ব্রিগেডে সমাবেশ করছেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তরের ভোটের আগে দক্ষিণে সমাবেশ করার লক্ষ্য একটাই- রাজ্যে বিজেপি-হাওয়া তোলা। তাই শিলিগুড়িতেই আটকে না থেকে রাজধানী কলকাতাতেও সমাবেশ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, গেরুয়া হাওয়া তুলতে প্রথম দফাতেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
১. দিল্লিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে বারবার মোদী কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। মা-বেটার সরকারের মতো রাজ্যেও পিসি-ভাইপোর সরকার বলে আক্রমণ শানাতে পারেন মোদী।
২. অনুপ্রবেশ বিজেপি’র বরাবরের ইস্যু। উত্তরবঙ্গের সমাবেশ থেকে এই ইস্যুতে মোদী অবশ্যই বলবেন। একই সঙ্গে ব্রিগেড থেকেও অনুপ্রবেশ বন্ধে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
৩. উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির বড় ইস্যু গোরক্ষা আরও সামনে আসে। এর পরে এই প্রথমবার নির্বাচন। এ রাজ্যে গো-পাচার নিয়েও শাসককে আক্রমণ করতে পারেন মোদী।
৪. ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত লেগেছে। অন্য রাজ্যের মানুষ সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বঞ্চিত বলে আক্রমণ শানাতে পারেন মোদী।
৫. কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্য পেলেও তা ঠিক মতো খরচ করা হচ্ছে না বলে আগেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভোটের মুখে সে অস্ত্র অবশ্যই ব্যবহার করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৬. এই রাজ্য শিল্পে পিছিয়ে থাকাকে আগেও নিন্দা করেছেন মোদী। বোমা শিল্পের কটাক্ষ ফের শুনতে হতে পারে শাসকদলকে।
৭. সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে আগেও একাধিক বার আক্রমণ করেছেন মোদী। সেটাও বাদ যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
৮. রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু মানুষের ভোট দিতে না পারাকে ইস্যু করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
৯. সারদা-সহ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে বাধা দেওয়া নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবারেও উঠতে পারে রাজীব কুমার প্রসঙ্গ।
১০. সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোট তৈরির চেষ্টাকে কটাক্ষ করতে পারেন মোদী।